স্টাফ রিপোর্টার – উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার ফল প্রকাশ করা হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কম্পিউটারের বোতাম চেপে প্রধানমন্ত্রী এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। এবারের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। পরীক্ষায় পাসের হার প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। আগের বছর এটি ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। ফলে এ বছর ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে পাসের হার।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮০ শতাংশ, জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৯৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭০৩ জন। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৬.৯৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮৬ জন। সিলেট বোর্ডে পাসের ৮১.৪০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭১ জন। রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১.৫৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৫ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৮.৭৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯০.৭২ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯১ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৭৭.০৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১৭৯ জন। দিনাজপুরে পাসের হার ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৩০ জন। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৬ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯৪. ৪১ শতাংশ।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় গত ৬ নভেম্বর সারাদেশে স্বাভাবিক পরিবেশে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন।
এ বছর দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্র ও ৯ হাজার ১৮১টি প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়। ১৩ ডিসেম্বর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ও ২২ ডিসেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে শেখ হাসিনা এ ফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল আপলোড করা হয়। এ সময় থেকে যে কেউ রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ওয়েবসাইট ও মোবাইলে এসএমএস করে ফল দেখতে পারেন।
এ বছর ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ ছাত্র এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ ছাত্রী। সারা দেশে ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা নেয়া হয়।
মোট ১১টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০ জন।
অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৪৪৮টি কেন্দ্র মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৬৯৫ ছাত্র এবং ৪৩ হাজার ৬৮ ছাত্রী।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৯৩১। এর মধ্যে ছাত্র ৮৮ হাজার ৯১৮ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ১৩ জন।