Search
Close this search box.

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দুই ফাঁসির আসামি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার- মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডলকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুগদায় অবস্থিত তার ছেলের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডলের বাড়ি গাইবান্ধায়। তিনি মুগদায় ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আবদুল ওয়াহেদ জামায়াতে ইসলামীর গাইবান্ধা সদর উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি গাইবান্ধায় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ নানা অপরাধে যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ ছিল।

গত সাত বছর আগে আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকেসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এর আগে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে হাজিরা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এরপর গাইবান্ধা ছেড়ে ঢাকার সাভারে চলে আসেন আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল। সেখানে কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার তিনি তাবলিগের একটি দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় দাওয়াতি কার্যক্রমে যান।

অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে গাইবান্ধা নিম্ন আদালতে আব্দুল ওয়াহেদসহ ৫ জনকে আসামি করে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একটি মামলা দায়ের করেন আব্দুর রউফ। পরে ২০১৪ সালে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে স্থানান্তর করা হয়।

বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হলে আব্দুল ওয়াহেদসহ অন্যান্য আসামিরা ২০১৬ সাল পর্যন্ত জামিনে থাকে। ২০১৬ সালে জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এবং পরবর্তী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হলে আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তী তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা প্রতিটি অভিযোগ প্রমানিত হলে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ৫ জনের নামে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেন। রায় হওয়ার পর পলাতক অবস্থায় দুই আসামি আব্দুর জব্বার ও রঞ্জু মিয়া মারা যায়। আরও দুইজন আসামি জাছিজার রহমান ও মোন্তাজ আলী বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলার শুনানিতে হাজিরা না দেওয়ায় আব্দুল ওয়াহেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এর পরপরই নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে এবং সাভার এলাকায় কিছুদিন আত্মগোপনে থাকেন।

তিনি জানান, এরপর সে একটি তাবলিগ দলের সাথে যুক্ত হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় তাবলিগ করে আত্মগোপনে থাকেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার এড়াতে সে নিয়মিত তাবলিগ দলের সঙ্গে স্থান পরিবর্তন করতেন। এসময় তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অন্যের রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম দিয়ে মোবাইল ব্যবহার করতেন। আত্মগোপনে থাকাকালীন ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রেখে ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন ওয়াহেদ।

এদিকে, গত রাতে মোহাম্মদপুর থেকে মো. জাছিজার রহমান খোকা নামের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আরেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আটক করে র‌্যাব-২।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ