স্টাফ রিপোর্টার – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধটি একটি মহাকাব্য, আর এর অবিসংবাদিত মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। কলকাতার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতি নিয়েও প্রচারণা চালাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর অংশ হিসেবে কলকাতায় এটির আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যে কৌশল আমরা নিয়েছি, যেভাবে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, তাতে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
মন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের মধ্যদিয়ে একটি জাতি বেঁচে থাকে, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে পথে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর পরিকল্পিতভাবে এ ইতিহাসকে বিকৃত করেছে বিএনপি, জামায়াত, রাজাকার, আল বদরসহ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তারা এখনো ইচ্ছাকৃতভাবে ইতিহাসবিস্মৃত হয়ে ও প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চায়। দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়। এদের ব্যাপারে দেশে-বিদেশে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে আমরা জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী ১৪ বছরে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন করেছেন, যে উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান। যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। জীবন বাজি রেখে আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছে, পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। আমরা উভয় দেশই সব দিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যদিও অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে ভারত একটু বড় দেশ। তারপরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, বিশেষ অতিথি হিসাবে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস ও কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর বক্তব্য রাখেন। প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক।
এছাড়া, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটির সভাপতি মীর এমএম শামীমের সভাপতিত্বে বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. রাধাকান্ত সরকার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক আনোয়ারুল হক ভূইয়া, আন্ত:দেশীয় সমন্বয়কারী অবনী কুমার ঘোষসহ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বরেণ্য ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।