স্টাফ রিপোর্টার- ইসলামের প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হজ। প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান মক্কায় হজের উদ্দেশে একত্রিত হয়। এই হজ কার্যক্রমকে ঘিরে নোয়াখালীর চাটখিল সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়ংকর প্রতারণা করে আসছে কয়েকটি চক্র।
এরই মধ্যে চাটখিল উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বেপারি বাড়ির শহীদুল্লাহর ছেলে শামসুদ্দিন শামিম অন্যতম।
নিজেকে সরকার অনুমোদিত হজ এজেন্সি রোজিনা এয়ার ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং-১১২৭) সহ একাধিক হজ এজেন্সির মালিক দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালীর চাটখিল এলাকার হজে যেতে ইচ্ছুক সহজ সরল ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে শামসুদ্দিন শামীম নামের এই প্রতারক।
অবশেষে সোমবার ৬ মার্চ বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পালানোর সময় বশির আহমেদ কানন নামের এক ভুক্তভোগীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করেছে ওয়ারী থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী বসির আহমেদ কানন জানান তার পরিবারের সদস্যদের কে হজে পাঠানোর কথা বলে ১৪ লক্ষ টাকা নেই এই প্রতারক শামীম। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যদের হজে নিতে পারে নাই এই প্রতারক, এবং দীর্ঘদিন থেকে টাকা ফেরত দেবে বলে ঘুরাচ্ছে। গতকাল ৬ মার্চ সকালে তারা খবর পায় প্রতারক শামীম পালিয়ে আমেরিকায় চলে যাচ্ছে তখন ইমিগ্রেশন পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে রাজধানীর ওয়ারী থানা পুলিশ আটক করে।
চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর গ্রামের শাহ আলম তফদার জানান তার এবং তার পরিবারকে হজে নেওয়ার কথা বলে ২০১৭ সালে ৭ লক্ষ টাকা নেয় এই প্রতারক শামীম পরে হজে নিতে না পারলে ৭ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয় এই প্রতারক কিন্তু ওই চেক দিয়ে টাকা তুলতে না পেরে তাদের সন্তান সাইফুল ইসলাম নোয়াখালীর আদালতে মামলা (দায়রা ৪৮৭/১৯) দায়ের করে। তাহা নোয়াখালীর যুগ্ন-২ দায়রা ও জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
উপজেলার পৌরকোট ইউনিয়নের আব্দুল কাদের জানান তিন বছর পূর্বে তার বোনকে হজে নেওয়ার জন্য তিন লক্ষ টাকা নেয় এই প্রতারক শামীম কিন্তু দীর্ঘ তিন বছর থেকে নানান ধরনের কথা বলে ঘুরাচ্ছে এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না হজে নেওয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য সরকার অনুমোদিত হজ এজেন্সি রোজিনা এয়ার ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং-১১২৭) এর মালিক পরিচয় দিয়ে অফিস খুলে প্রতারণা করার কারণে ট্রাভেলসের মূল মালিক রোজিনা খাতুন টঙ্গি (পূর্ব) থানায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এ সাধারণ জিডি করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জিয়াউল হাসান তালুকদার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হজ যাত্রীদের টাকা আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে তাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে মামলা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।