স্টাফ রিপোর্টার- বাংলাদেশে বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব। এ জন্য শিগগিরই একটি সমঝোতা চুক্তি সই হবে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজেদ বিন আব্দুল্লাহ আলকাসাবি।
শনিবার (১১ মার্চ) এফবিসিসিআই আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিটে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মাজেদ বিন আব্দুল্লাহ আল কাসাবি বলেন, সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, রংপুর চিনি কলের জায়গাটিতে বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে রূপান্তর হবে, সেখানে গ্যাস লাইন সংযোগে সৌদি আরব বিনিয়োগ করবে। এছাড়া আরবি ভাষা ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, তাদের সঙ্গে কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে মার্কেট আছে, সেটি আকর্ষণীয় করতে পারলে তারা বিনিয়োগ করবে। বিদ্যুৎ সেক্টরে একটি ভালো খবর, সৌদি আরব সেখানে বিনিয়োগ করবে। আমরা আশা করি আমরা একসঙ্গে আমাদের দুই দেশের বাণিজ্য এগিয়ে নিতে পারব। আমরা খুবই আশাবাদী আমরা এবং সৌদি আরব একসঙ্গে অনেক দূর যেতে পারব।
এ সময় এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুসহ অনন্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ এর আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
এফবিসিসিআই প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এ সম্মেলন আয়োজনে সংস্থাটিকে সহযোগিতা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সিইও এবং দুইশর বেশি দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বিশ্বের ১৭টি দেশের ব্যবসায়ী নেতারা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
তিন দিনের সামিটে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত নিয়ে ১৭টি সেমিনার ও তিনটি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিজনেস সামিটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতা, টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং এখানে বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হবে।
সম্মেলনটি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ আকর্ষণে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।