Search
Close this search box.

আমাকে অপহরণ করে হত্যা করতে চায় – ইমরান খান

আমাকে অপহরণ করে হত্যা করতে চায় - ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক – আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে পুলিশ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সভাপতি ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে তার জামান পার্কের বাসস্থানে উপস্থিত হয়। কিন্তু কর্মী-সমর্থকদের বাধায় এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

বুধবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, পুলিশকে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের আধাসামরিক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা পাঞ্জাব রেঞ্জার্সের একটি বড় দল জামান পার্কে পৌঁছে। পুলিশ পিটিআই কর্মীদের জামান পার্ক থেকে ছত্রভঙ্গ করতে শেল বর্ষণ করেছে।

রেঞ্জার বাহিনী অভিযানে যোগ দেওয়ার পর ইমরান বেশ কয়েকটি টুইটার বার্তা দেন। তিনি দাবি করেন, পুলিশ তাকে অপহরণ করে হত্যা করতে চায়। তিনি বলেন, এখানে মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাকে অপহরণ করে হত্যা করা’, কারণ পুলিশ এখন ‘তাজা গুলি ছুঁড়ছে’।

ইমরান তার টুইটে বলেন, প্রশাসন, বিশেষত যারা নিজেদের ‘নিরপেক্ষ’ দাবি করেন, তাদের প্রতি আমার প্রশ্ন: এটাই কী আপনাদের নিরপেক্ষতার ধারণা, যখন রেঞ্জাররা সরাসরি সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের নিরস্ত্র বিক্ষোভকারী ও নেতৃত্বের মোকাবিলা করছে, যখন তাদের নেতার বিরুদ্ধে অবৈধ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং যখন মামলা ইতোমধ্যে আদালতে আছে, এবং যখন এই অপরাধীদের সরকার তাকে অপহরণ ও খুব সম্ভবত হত্যা করার চেষ্টা চালাচ্ছে?।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ‘অরাজকতা এড়াতে’ তিনি একটি মুচলেকায় সাক্ষর করেছেন। তার আইনজীবী এ নথি তাকে গ্রেফতার করতে আসা ইসলামাবাদ পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন বলে জানান ইমরান।

‘ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৭৬ ধারা অনুযায়ী, এ ধরনের মুচলেকা দেওয়া হলে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে না’, দাবি করেন ইমরান। ইমরান আরও দাবি করেন, পুলিশের ডিআইজি এই মুচলেকা ধর্তব্যে নিতে রাজি হননি, কারণ তাকে গ্রেপ্তার করা ‘লন্ডন পরিকল্পনার’ অংশ।

‘লন্ডন পরিকল্পনায় বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, ইমরান খানকে কারাগারে দেওয়া হবে, পিটিআইকে পরাজিত করা হবে এবং নেওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে আনা সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে। আমাকে কারাগারে নেওয়া লন্ডন পরিকল্পনার অংশ। এর সঙ্গে আইনের কোনো সম্পর্ক নেই এবং আমি কোনো অপরাধ করিনি’, দাবি করেন পিটিআই প্রধান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ