Search
Close this search box.

সাকিব-হৃদয়ের ১৩৫ রানের জুটিতে ৩৩৮ রান করল বাংলাদেশ

সাকিব-হৃদয়ের ১৩৫ রানের জুটিতে ৩৩৮ রান করল বাংলাদেশ

মিথুন আশরাফ – বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নেমে দেশের হয়ে ইতিহাস গড়া তৌহিদ হৃদয় অসাধারণ ব্যাটিং করেন। চতুর্থ উইকেটে সাকিব ও হৃদয়ের ১৩৫ রানের জুটিতে ৩৩৮ রানও করে বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে এই রান করে বাংলাদেশ। সাকিব ৯৩ ও হৃদয় ৯২ রান করেন।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫৩তম হাফসেঞ্চুরি করেন সাকিব। ৬৫ বলে ২ চারে ৫০ রান করেন। দশম সেঞ্চুরির কাছেও চলে যান। কিন্তু দলের যখন ২১৬ রান, তখন ৮৯ বলে ৯ চারে ৯৩ রান করে আউট হয়ে যান। চতুর্থবারের মতো নার্ভাস নাইনটিসে গিয়ে আউট হলেন সাকিব। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে ৫৫ বলে ৫ চারে ৫০ রান করে অভিষেক ওয়ানডেতেই হাফসেঞ্চুরি করে দেখিয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। যখন ৬৪ রান করেন, তখনই বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করে ইতিহাস গড়েন হৃদয়। এরআগে ২০১১ সালে ওয়ানডে অভিষেকে ৬৩ রান করেছিলেন নাসির হোসেন।

আয়ারল্যান্ড টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে বিপদে পড়ে। ৮১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে যে চতুর্থ উইকেট জুটিতে নিজেদের ক্যারিশমা দেখানো শুরু করেন সাকিব ও হৃদয়, তা চলতে থাকে। দুইজন মিলে দলকে ১০০ রানে নিয়ে যান। ১৫০ রানে নিয়ে যান। এমনকি দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ২০০ রানেও নিয়ে যান। ২০০ রান হওয়ার আগেই যখন ১৮১ রান হয়, তখন ১০০ রানের জুটিও হয়ে যায়। যখন দুইজন মিলে ১৩১ রানের জুটি গড়েন, তখনই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি হয়ে যায়।

অধিনায়ক তামিম ইকবাল (৩), ওপেনার লিটন কুমার দাস (২৬) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (২৫) আউট হওয়ার পর সাকিব ও হৃদয় মিলে জুটি গড়া শুরু করেন। সেই জুটি দলকে ২০০ রানের উপরে নিয়ে গিয়ে থামেন। এরপর পঞ্চম উইকেটে হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম মিলেও ৫০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। যখন দলের ২৯৬ রান হয় ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৪ রান করে আউট হয়ে যান মুশফিক। ততক্ষনে হৃদয় ও মুশফিক মিলে ৮০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের স্কোরও গড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। এরআগে ২০১৯ সালে ডাবলিনে ৪ উইকেটে ২৯৪ রান করেছিল বাংলাদেশ।

এক রান যোগ হতেই হৃদয়ও আউট হয়ে যান। আর ৩ রান হলেই দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়ানডেতে অভিষেকেই প্রথম সেঞ্চুরি গড়ার ইতিহাস গড়তে পারতেন হৃদয়। কিন্তু ৮৫ বলে অসাধারণ ব্যাটিং করে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৯২ রান করে বোল্ড হয়ে যান হৃদয়। ইয়াসির আলী রাব্বি ব্যাট হাতে নেমে ছক্কা চার হাকিয়ে ১৭ রান করে রান আউট হয়ে যান। তবে দলকে ৩৩১ রানে রেখে যান। ইনিংস শেষ হতে ৪ বল থাকে। নাসুম আহমেদ অপরাজিত ১১ ও মুস্তাফিজুর রহমান অপরাজিত ১ রান করেন। পেসার গ্রাহাম হিউম ৪ উইকেট শিকার করেন। বাংলাদেশ ৩৩৮ রান করে। আয়ারল্যান্ডের সামনে জিততে ৩৩৯ রানের টার্গেট দাড় হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ