স্টাফ রিপোর্টার- এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) নেতৃত্বে কো-ফান্ডিং উদ্যোগের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা পেতে যাচ্ছে। যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২ ধাপে এই তহবিল বাংলাদেশে আসবে। প্রথম ধাপে এপ্রিলে ১ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার এবং জুনে আরও প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার আসবে। এর মধ্যে ম্যানিলাভিত্তিক বহুপাক্ষিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এডিবি দেবে প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলার।
এই তহবিলের বিনিময়ে সরকারকে অন্তত ১৪টি সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। যা এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি এবং কোরিয়া থেকে আসবে। তবে, অন্যান্য দাতারা আলাদা কোনো শর্ত দেয়নি। তারা এডিবির খসড়া সংস্কার কর্মসূচি অনুসরণ করবে।
সরকার যদি এডিবির নেতৃত্বাধীন কো-ফাইন্যান্সিং প্রোগ্রামের আওতায় এই বাজেট সহায়তা নিশ্চিত করে, তাহলে এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচির একটি বাধ্যতামূলক শর্ত পূরণে সহায়তা করবে। ২২ মার্চ পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। যা প্রায় সাড়ে ৩ মাসের আমদানি সুরক্ষিত করার জন্য যথেষ্ট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে এডিবির পরিকল্পিত কো-ফাইন্যান্সিং প্রোগ্রামের আওতায় কিছু শর্ত বাস্তবায়ন করেছে এবং অবশিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এর মধ্যে একটি শর্ত হলো আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর সংশোধনী সংসদে পাস হওয়া।
এই সংশোধনীতে যারা গত অর্থবছরে বিদেশ ভ্রমণের সময় ৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হবে। তবে, হজের খরচ এর বাইরে থাকবে। এর মাধ্যমে সরকার ব্যয় ট্র্যাকিং করে আয়করের জন্য করদাতাদের ভিত্তি প্রসারে সক্ষম হবে।
সরকারকে অবশ্যই আয়কর সম্পর্কিত আইন একত্রিত ও সংশোধন করতে হবে এবং নতুন আয়কর কোডের জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও সংসদে আয়কর অধ্যাদেশ সংশোধন করে বা অনুৎপাদনশীল আয়কর ছাড় কমাতে একটি এসআরও জারি করে নির্বাচিত আয়কর ছাড় প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে এডিবি।