Search
Close this search box.

খাবার স্বাস্থ্যসম্মত মনে না হলে আমাদের জানান- নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর চকবাজারের ইফতার দেশ বিখ্যাত। সেখানে গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ইফতার বিক্রির এলাকা ঘুরেছেন তিনি, কিন্তু কোথায় মশা মাছি বা নোংরা দেখতে পাননি তিনি। এই পরিস্থিতি যেন বজায় থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এ নায়ক। একইসঙ্গে ইফতারির খাবার যদি স্বাস্থ্যসম্মত মনে না, ফোন করে তাদের জানাতে অনুরোধ করেছেন।

সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইফতার বাজারে সচেতনতামূলক অভিযানে যান চিত্রনায়ক ফেরদৌস। পরবর্তীতে গণমাধ্যমের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা যে খাবার কিনছেন সেটি আপনার পরিবারের জন্য কতটা নিরাপদ- সেটা বোঝাতে আমরা ভোক্তাদের কাছে এসেছি। বিক্রেতাদেরও আমরা বলতে চাই, আপনারা যে খাবার তৈরি করেছেন এবং ভোক্তাদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন তা কতটুকু নিরাপদ, এবং তার নিরাপত্তা কত জরুরি তা বোঝাতে এসেছি।

ফেরদৌস বলেন, ২০২২ সালের রোজার মাসে আমরা কিছু কিছু জায়গায় গিয়ে মানুষকে বুঝিয়েছি। এবারও সে ধারাবাহিকতায় এসেছি। এটা এমন একটা ব্যাপার একদিনে তো পরিবর্তন হবে না। তাই আমরা পর্যায়ক্রমে মানুষকে বোঝাচ্ছি। আমি আমার সচেতনতার জায়গা থেকে এসেছি। আমি দীর্ঘদিন আমার অভিনয় শিল্পের মাধ্যমে মানুষকে বিভিন্ন বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। আমার উপস্থিতি যদি এ মাসে মানুষের মধ্যে সচেতনতা আনে, সেটি অনেক বড় সার্থকতা।

এ সময় কেউ যদি মনে করে খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের টোল ফ্রি নাম্বারে (১৬১৫৫) জানাতে অনুরোধ করেন ফেরদৌস। কল করলে প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

ফেরদৌস বলেন, আমি চকবাজারে এসে একটা মশা, মাছি বা নোংরা পাইনি। সবাই মাস্ক পরে, হ্যান্ডগ্লাভস পরে খাবার তৈরি, পরিবেশন/বিক্রি করছেন। এই পরিবেশটা যেন সবসময় এমন থাকে সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদের, ক্রেতাদের। এরপর কর্তৃপক্ষ থাকবে। এখানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বুথ আছে, তারা দেখবে। যেহেতু চকবাজার বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার, দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ এখানকার ইফতার নিতে আসেন, সেহেতু এর প্রতি আলাদা দৃষ্টি দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

এ সময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা জানান, চকবাজারে তাদের অভিযান ভালো হয়েছে। সবাইকে সচেতন করা হয়েছে, এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে খাবারের ফুড কালার, মূল্য, ভাজা তেল দেওয়া হচ্ছে কিনা, স্বাস্থ্যসচেতনতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশের বিষয়গুলো দেখা হয়। এছাড়া চকবাজারের ইফতার বিক্রেতাদের মধ্যে হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। অভিযানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ