Search
Close this search box.

অটিজম শিশু-ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

স্টাফ রিপোর্টার- রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এ আহবান জানান।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আগামীকাল ‘১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে দেশের সকল অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

এবারের বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ‘আমাদের সমাজ ও পরিবারের অংশ’। প্রতিবন্ধী ও এনডিডি (নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিস্যাবিলিটি) বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১৩’,

নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮’ এবং ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিধিমালা ও নীতিমাল বাস্তবায়নের ফলে প্রতিবন্ধিতার ধরণ ও মাত্রা অনুযায়ী সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে চিকিৎসা ও থেরাপি সেবার পাশাপাশি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া গ্রহণ করার প্রয়াস চলমান রয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যা সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

অটিজম ও এনডিডি সেবাকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তি এবং অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনমান আরো উন্নত হবে বলেও তিনি মনে করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, অটিজম ও এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনব্যাপী সেবার প্রয়োজন হয়। তাই অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ ও সহায়ক প্রযুক্তি প্রদান করে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন শিশু ও ব্যক্তিদের সাথে নিয়েই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে আরো প্রসারিত করবে বলেও বিশ্বাস করেন।

রাষ্ট্রপতি ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ