Search
Close this search box.

রিকশা দিতে রাজি না হওয়ায় খুন, গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার- ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনের নির্জন এলাকা থেকে গত ১৩ মার্চ এবং ৩ এপ্রিল অজ্ঞাত দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, নিহত দুজনের নাম মিরাজ হোসেন (২৬) ও মো. স্বপন ইসলাম। তাঁরা দুজনই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। এই ঘটনায় দুটি হত্যা মামলা হয়। ডেমরা থানা-পুলিশ মামলা তদন্ত করে।

রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে অটোরিকশা ছিনতাই চক্রকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগ। চক্রটি যাত্রী বেশে ব্যাটারিচালিত রিকশায় উঠে, চালককে নির্জন এলাকায় নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। কখনো কখনো চালক বাধা দিলে তাঁকে হত্যা করেই রিকশা নিয়ে যায়।

রবিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জিয়াউল আহসান তালুকদার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তদন্ত করতে নেমে পুলিশ ডেমরা এলাকায় দুটি রিকশা ছিনতাই গ্রুপের সন্ধান পায়। তাঁরা নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় থাকেন। তবে ঢাকা এসে তাঁরা ছিনতাই করে। গত ৯ এপ্রিল রাতে ডেমরার বাশেরপুল এলাকা থেকে একটি গ্রুপের চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে দুটি ছিনতাইকৃত রিকশা উদ্ধার করা হয়। তবে দুই হত্যার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে রিকশা চুরির মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায় ডেমরা থানা-পুলিশ।

ডিএমপির ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমে একটি ছিনতাই গ্রুপকে গ্রেফতারের পর, আরেকটি গ্রুপের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা হলেন–নাঈম (২৩) ও জাহিদ (২০)। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে, হত্যা ও রিকশা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা।

তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে একটি রিকশা নিয়ে নয়ন, নাঈম, জাহিদ ও রায়হান ছিনতাইয়ের জন্য বের হয়। তাঁরা যাত্রাবাড়ীর দিকে যায়। যাত্রাবাড়ী লেগুনা স্ট্যান্ডে একটি অটোরিকশাকে তাঁরা টার্গেট করে। অটোরিকশাটিকে আমুলিয়া থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ আনার জন্য ২০০ টাকায় আসা–যাওয়া ভাড়া করেন। রিকশায় নয়ন ও নাঈম উঠে বসে। পেছনে তাঁদের রিকশায় জাহিদ ও রায়হান বসে সামনের রিকশা অনুসরণ করতে থাকে। আমুলিয়া মডেল টাউনের নির্জন এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পর নয়ন রিকশা চালকের পেছন থেকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে। রিকশা দিয়ে দিতে বলে। তবে রিকশা দিতে রাজি হয় না চালক স্বপন। তখন নয়ন রিকশাচালককে প্রশ্ন করে, ‘রিকশা দিবি, নাকি জান দিবি?’ রিকশা চালক স্বপন বলেন, ‘জান দিলেও রিকশা দেব না।’ এরপর ইট দিয়ে স্বপনের মাথা ও মুখে আঘাত করে নয়ন। চালক স্বপন মারা যায়। এরপর ছিনতাইকারী নাঈম ও জাহিদ রিকশা নিয়ে চলে যায়। মালা মার্কেটের সেলিম গ্যারেজে নিয়ে দশ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

একই কায়দায় চক্রটি একই জায়গায় অপর চালক মিরাজ হোসেনকেও হত্যা করে। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন নাঈম ও জাহিদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ