স্টাফ রিপোর্টার – রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি সেখানে কবর জিয়ারত করেন এবং ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
রাষ্ট্রপতি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানাও ছিলেন।
বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এবং ১৯৭৫ সালের শহীদরা চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন। সূত্র – বাসস।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্য ঠান্ডা মাথায় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, তাদের তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।
এরআগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎস্বর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপ্রধান শিখা অনির্বাণ পৌঁছলে ভারপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী প্রধান ও সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান তাকে স্বাগত জানান।
শিখা অনির্বাণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ। যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সৈনিকদের স্মৃতিকে জাতির জীবনে চির উজ্জ্বল রাখতে এই স্মৃতিস্তম্ভে সার্বক্ষণিক শিখা প্রজ্জ্বলন করে রাখা হয়।