স্টাফ রিপোর্টার- জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে হাজার হাজার মোবাইল সিম নিবন্ধন করে বিক্রি করা হয়ে আসছে বহুদিন ধরেই। আর এসব সীম ব্যবহার করে অপরাধীরা সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে। এসব সিম প্রিঅ্যাকটিভেটেড হিসাবে খুচরা দোকানে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। যেকেউ কিনেই এসব নম্বর ব্যবহার করতে পারেন।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশনের সময় কৌশলে আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে তাদের নামে অন্য মোবাইল নম্বর রেজিস্ট্রেশন করে।
সম্প্রতি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশনকৃত সীমকার্ড বিক্রয়কারী চক্রের মূলহোতা সহ তার অপর এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ আসলাম হোসেন (২৫) এবং তার অন্যতম সহযোগী মিসকাত হোসেন (২০) । এসময় বিপুল পরিমাণ অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশনকৃত সীমকার্ড জব্দ করে র্যাব সদস্যরা।
র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রবিবার সকালে যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় ৩২০ টি অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশনকৃত সীমকার্ড জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, ধৃত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহজ সরল মানুষের নিকট থেকে প্রতারণামূলকভাবে তথ্য হাতিয়ে এসব অবৈধ রেজিস্ট্রেশনকৃত সীমকার্ড সংগ্রহপূর্বক ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। এসব সীমকার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধী চক্র তাদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে থাকে যাতে করে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিজেদেরকে গোপন রাখতে পারে।
এসকল অসাধু সীমকার্ড ব্যবসায়ী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কমর্কতা। ধৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।