স্টাফ রিপোর্টার- ১৪ বছর পলাতক হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শফিকুলকে (৪০) পাবনার ঈশ্বরদী থেকে গ্রেফতার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
মোবাইল ফোনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২০০৮ সালে গাজীপুরের বক্তারপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মহিউদ্দিনকে (১৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওখিং মে।
এর আগে রবিবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর এলাকা থেকে স্থানীয় পুলিশের সহযোগীতায় তাকে গ্রেফতার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত শফিকুল একই উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনগাঁও গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে। এই মামলার আরো কয়েকজন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান জানান, ২০০৮ সনের ১৬ আগস্ট রাত আটটার দিকে মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে ব্রাক্ষ্মনগাঁও গ্রামের ময়েজউদ্দিনের বাড়ি সংলগ্ন বিলের পাশে কুপিয়ে জখম অবস্থায় মহিউদ্দিনের মরদেহ স্থানীয়রা দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় পরদিন ১৭ আগস্ট নিহতের বাবা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওসি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুলসহ কয়েকজনকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই মামলাটি পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ আদালত মৃত্যুদন্ডের রায় দেন এবং পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন।
তিনি আরও জানান, আসামীরা মামলা দায়েরের পর পরই আত্মগোপনে চলে যায়। আদালত কতৃক ওয়ারেন্ট জারী হলে তাদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ।
নিজেদের বাঁচাতে আসামী শফিকুল সহ অন্যান্যরা দেশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপন করে বিভিন্ন পন্থায় কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। আসামী শফিকুল অতিসয় ধুরন্ধর হবার কারনে তাকে ধরতে বেশ সময় লেগে যায়। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার পাবনার ঈশ্বরদী থেকে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় শফিকুলকে গ্রেফতার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার (১ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
