স্টাফ রিপোর্টার – প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ এমন একটি ধারণা, যা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য নানাবিধ সুবিধা বয়ে আনবে। এটি দেশের সরকার ব্যবস্থাকেও ডিজিটাইজ করার ওপর জোর দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব: স্মার্ট প্রবৃদ্ধির জন্য লক্ষ্য’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ধারণা তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সংক্ষেপে বলতে গেলে, এটি এমন একটি ধারণা, যা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য নানাবিধ সুবিধা বয়ে আনবে। আমাদের অনুমান, এর মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশের নাগরিকদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ সাশ্রয় হবে। বিশেষ করে ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।
তিনি আরও বলেন, এই ধারণা (স্মার্ট বাংলাদেশ) সবকিছুর ডিজিটাইজেশনের ওপর জোর দেয়। বিশেষ করে সরকার ব্যবস্থা ডিজিটাইজ করার ওপর জোর দেয়। পাশাপাশি এটি সব ক্ষেত্র থেকে দুর্নীতির সুযোগও বন্ধ করে দেবে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বক্তব্য দেন। তিনি মার্কিন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ওষুধ, হালকা ও ভারী মেশিন, রাসায়নিক, সার, তথ্যপ্রযুক্তি, সমুদ্র সম্পদ, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ অনেক সম্ভাবনাময় সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়া আর কোন কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা যায়, তার সুযোগ ও সম্ভাব্যতাও অনুসন্ধান করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন অংশীদার। বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল বন্ধুপ্রতিম এ দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রকে অংশীদার হিসেবে থাকারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।