Search
Close this search box.

পাকিস্তান প্রত্যয় এখনও সজীব

পাকিস্তান প্রত্যয় এখনও সজীব

মুনতাসীর মামুন

দুই পর্বের এই লেখাটির বাকী অংশ আগামীকাল দেখুন

একটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি অনেকদিন, কিন্তু এখনও তেমন সদুত্তর পাইনি। সেটি পাকিস্তান সম্পর্কিত। আমার কাছে সব সময় মনে হয়েছে পাকিস্তান একটি দেশ শুধু নয় একটি প্রত্যয়। এ প্রত্যয়ের অন্তর্গত, সামরিকায়ন ও আমলাতন্ত্রের শাসন, ‘গণতন্ত্র’ পরিচালিত হবে তাদের নির্দেশে, ব্যাপক দুর্নীতি ও সম্পদ ভোগ করবে সামরিক আমলারা, ধর্মকে শুধু রাজনীতি নয়, মানুষ দমনে ব্যবহৃত হবে, জঙ্গিবাদ প্রাধান্য পাবে। এখানে যারা বসবাস করে তাদের মানসজগত এসব উপাদান দ্বারা প্রভাবিত। এরা নির্দয় ও হিংস্র, হাসতে হাসতে মানুষ খুন করে ও ধর্ষণ করে যেমন করেছিল ১৯৭১ সালে এবং সে সব খুনের বিচার হয় না। একজন মুসলমান সমান ২জন হিন্দু। বাঙালিরাও হিন্দু। এ হলো তাদের মানসজগত। পাকিস্তান প্রত্যয় যদি প্রাধান্য বিস্তার করে তাহলে সে দেশ ব্যর্থ হতে বাধ্য।

১৯৪৭ সালের আগে থেকে মুসলিম লীগ এই প্রত্যয় নির্মাণে সচেষ্ট থেকেছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৪ মুসলিম লীগই দেশ শাসন করেছে এবং এ প্রত্যয়টি বাঙালির মানসিকতায় প্রোথিত করেছে। মুসলিম লীগের অবসান হয়েছে, তারা ফিরে আসেনি কিন্তু এ প্রত্যয়টির প্রভাব বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে যথাযথভাবে আছে। বঙ্গবন্ধু এ প্রত্যয় থেকে বেরুবার চেষ্টা করেছেন, জয়লাভও করেছেন। কিন্তু তাঁকে হত্যার পর যখন বামপন্থি, আওয়ামী লীগার, মুক্তিযোদ্ধারা জিয়ার দলে ভিড়লেন তখন বোঝা গেল, ১৯৭১ সালও বাঙালিকে এ প্রত্যয় থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে পারে নি। ইমতিয়াজের বই গণহত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যা অস্বীকারের সামিল। গণহত্যা নিয়ে প্রশ্ন বা অস্বীকার এক ধরনের অপরাধ। জেনোসাইড সেন্টারের প্রধান হয়ে একথা অস্বীকার না করা আরো নৈতিকতা বিরোধী কাজ। ফ্রান্সে যখন হলোকাস্ট ডিনাইল অ্যাক্ট করা হয় তখন নোয়াম চমস্কি এর বিরোধিতা করেছিলেন, বলেছিলেন, ভলতেয়ারের দেশে এ কি হচ্ছে? ফরাসী বুদ্ধিজীবীরা বলেছিলেন, গণহত্যা অপরাধ, কোনো যুক্তি দিয়ে তা অস্বীকার করা যাবে না, ভলতেয়ারের দেশ হলেও। পাকিস্তানিরা, পশ্চিমা অনেকে ১৯৭১-কে গৃহযুদ্ধ বলে, পাকিস্তানিরাও বলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যেখানে মর্মান্তিক সব হত্যা হয়েছে ১৯৭১ সালে তিনি কেনো পাকিস্তানিদের তত্ত্বের প্রতিধ্বনি করবেন? এখনও?

গত কয়েক দশকে প্রমাণিত হয়েছে এরা অনেক শক্তিশালী। এবং গণতন্ত্রের নামে এরা প্রতিনিধিত্ব করছে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয়পার্টিতে। এরা বঙ্গবন্ধুর শহীদ দিবসে কেক কাটে, মশকরা করে, খুনিদের সঙ্গে বসবাস করে, গণহত্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, ঘাতক দালালদের বিচারে অনীহা প্রকাশ শুধু নয় সমালোচনা করে, পাকিস্তানের সব কিছু তাদের কাছে উত্তম, ধর্মনিরপেক্ষতা তাদের কাছে বিষবৎ, সব সময় তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তোলে, খুনিদের ক্ষমতায় বসায় এজন্য বাংলাদেশে তারা পরিচিত স্বাধীনতা বিপক্ষ শক্তি হিসেবে। এরাই নিয়ত বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগকে সব সময় দোষারোপ করে। খালেদা জিয়া বিএনপি বা জিয়াউর রহমান ও এরশাদকে নয়, এরা ধর্মাশ্রয়ী দলকে সমর্থন করে এ বলে যে তারা আদর্শবাদী দল, মুক্তিবাহিনির বিচার চায় তারা পাকিস্তানি বা পাকিস্তান পন্থিদের ১৯৭১ সালে হত্যা করেছে বলে। শিক্ষায়তনগুলিতে এরা শিক্ষক হিসেবে পাকিস্তানতত্ত্ব সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে সমর্থন যোগায়। এখন দেখছি স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধ যারা সমর্থন করে তাদের অনেকেও এই পাকিস্তান প্রত্যয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। আজ ৭৫ বছর কেনো এই তত্ত্ব বাঙালিদের প্রভাবিত করছে তার উত্তর খুঁজছি।
সম্প্রতি অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমদের বই নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। তাঁরাই অনেক প্রশ্ন তুলেছেন যারা পাকিস্তান তত্ত্বে বিশ্বাস করেন না। প্রগতির তারা ধারক। ড. ইমতিয়াজের বইতে তারা পাকিস্তান প্রত্যয়ের এসব উপাদান খুঁজে পেয়েছেন এবং তা

অসত্য নয়। ড. ইমতিয়াজকে নিয়ে এতো বিতর্ক হতোনা যদি না তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণহত্যা কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের প্রধান হতেন। অধ্যাপক এমাজউদ্দিনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন এবং এরকম আরো অনেকে। তারা প্রকাশ্যে বিএনপির সমর্থক ছিলেন এবং সবাই জানত তারা এরকমই বলবেন। ড. ইমতিয়াজের ব্যাপারে এটি কারো মনে হয় নি। কারণ, তাঁর পিতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ, তার বড় দুই ভাই কট্টর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। সুতরাং, এটি কেউ আশা করে না। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক বিদ্যা সংস্থা ও গণহত্যা কেন্দ্রের পরিচালক। বাংলাদেশ এখন গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাচ্ছে। সুতরাং এ সব পদে থাকা কোনো ব্যক্তি যদি বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ বা গণহত্যা নিয়ে অনভিপ্রেত মন্তব্য করেন তাহলে তা স্বীকৃতির প্রশ্নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে; সমস্যা সেখানেই। না হলে এ নিয়ে সমস্যা হতো না। আরেকজন পাকিস্তানমনস্ক অধ্যাপকের লেখা বলে বিতর্কে যেত না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একথা মনে রেখেই তাঁকে একাডেমিক কাজ থেকে বিরত রেখেছে। তবে, অধ্যাপক ইমতিয়াজ অবসরে যাওয়াতে অনেক ঝামেলা থেকে বেঁচে গেছেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমদের বই ‘হিস্টোরিসাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সাস পার্সন’ নিয়ে গত দু’মাস গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। মাত্র ৪৪ পৃষ্ঠার বই [ছবি, নামপত্র ইত্যাদি বাদ দিলে ৩২ পাতার বই], শক্ত মলাটের কারণে মোটাসোটা লাগে। বইটি ইউপিএল প্রকাশ করেছিল। ইউপিএলের তখন স্বত্বাধিকারী ছিলেন মহিউদ্দিন আহমদ, কট্টর মুক্তিযুদ্ধপন্থি। বইটি রিভিউয়ারের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়ে প্রকাশনায় আসে। প্রয়াত মহিউদ্দিন ভাই বইটি পড়েছিলেন কিনা সন্দেহ। ইউপিএল যাদের রিভিয়্যু করতে দিয়েছিল তাদেরকে আর রিভিয়্যু বোর্ডে না রাখা উচিত। কেননা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করলে তারা এ ধরনের বই অনুমোদন করতেন না।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বইটি পড়ে এতে উল্লেখিত নানা বিভ্রান্তির উল্লেখ করেন। ধারণা করেছিলাম, অধ্যাপক ইমতিয়াজের অবসরের পর এ নিয়ে আর কথাবার্তা হবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিতর্ক বাড়ছে, অধ্যাপক ইমতিয়াজ বক্তব্য রাখছেন। সম্প্রতি ডয়েচে ভেলে বিষয়টি আবার উস্কে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানেও এখন একই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ইমতিয়াজের বই নিয়ে নয়। তাঁর বইয়ে উল্লিখিত সিদ্ধান্তগুলিই তারা প্রচার করছে গত কয়েক বছর ধরে। অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম একাডেমিক ফ্রিডম [মুক্তবুদ্ধির চর্চা] নিয়ে কথা তুলেছেন, ফেসবুকেও এ নিয়ে তরুণ বুদ্ধিজীবীরা কিঞ্চিত বক্তব্য রাখছেন। পাকিস্তানে এখন এ ধরণের বই শুধু নয়, চলচ্চিত্র, ওয়েবসিরিজ প্রচারিত হচ্ছে। এই জাগো নিউজেই পুনম মুখার্জী এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। যেহেতু শুধু আমরা নই, সরকার এবং স্বয়ং অধ্যাপক ইমতিয়াজও বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁকে এ বিষয়ে বক্তৃতা দিতে নিয়ে গিয়েছিল লন্ডনেও, সুতরাং সবকিছু মিলিয়ে এ ধরনের বিতর্কের অবসান হওয়া উচিত। প্রথমে নিজের ও আমার এই সহকর্মীদের প্রসঙ্গে বলি। অধ্যাপক সৈয়দ মনজুর ও আমি একই দিনে আজ থেকে ৪৯ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিই ও ২০১৬ সালে একই দিনে অবসর গ্রহণ করি। আমাদের কালে মনজুর মেধাবী ছাত্র ও পরবর্তীকালে জনপ্রিয় ও মেধাবী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। প্রচুর লেখালেখি করতে পারতেন কিন্তু করেন নি। এখনও তিনি আগের মতো জনপ্রিয় শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে প্রফেসর এমেরিটাস বা অন্যকোনো সম্মানে ভূষিত করেনি সেটি তাদের হীনম্মন্যতা। কারণ কর্তৃপক্ষ যারা ছিলেন বা আছেন তারা এভাবে পরিচিত নন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তিনি সব সময় থেকেছেন, আছেনও। তাই যখন তিনি এ প্রসঙ্গে মুক্তচিন্তার কথা বলেন তখন প্রশ্ন ওঠে এ ফ্রিডম কি বাংলাদেশ ইতিহাস বিরোধী হলেও মেনে নিতে হবে?

অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমদও মেধাবী ও জনপ্রিয় শিক্ষক। বিদেশেও তিনি পরিচিত, আমাদের একদশক জুনিয়র হলেও তাঁকে আমরা শুধু স্নেহ নয়, তার বিদ্যাবত্তার জন্য প্রশংসাও করি। অধ্যাপক ইমতিয়াজের পরিবারের সঙ্গে আমি ঘনিষ্ঠ। তাঁর পিতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু,তার বড় ভাই কট্টর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলের সমর্থক এবং অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। মনজুর বা ইমতিয়াজের তুলনায় আমি নেহাতেই ম্লান। বিদ্যা-বুদ্ধিতে। গড়পড়তা অধ্যাপক যেমন হয়, তেমনি। তা সত্ত্বেও আমি এ বিষয়ে দু’ একটি মন্তব্য করছি। এ কারণে যে গত অর্ধশতক অধ্যাপক ইমতিয়াজ উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগ আছে।

প্রথমত বলি, অধ্যাপক ইমতিয়াজের বইটি আমি কিনেছিলাম অনেক আগেই। কয়েকপাতা পড়ে আর এগোইনি। কারণ, যে বিষয় নিয়ে তিনি চর্চা করেছিলেন তা’ নিয়ে তাঁর আগে প্রচুর প্রবন্ধ ও বই বাংলাভাষায় লেখা হয়েছে যার কোনো উল্লেখ সেখানে নেই। অবশ্য সে সব বইয়ে অনর্থক রবীন্দ্রনাথ, রণজিৎ গুহ, হেগেল, মিল, ফুকো, ডেসমন্ড টুটুর উল্লেখ নেই। এখানে আছে, ভুল ক্যাপশনে তাদের ও অন্য ছবিও আছে। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি বড় অংশ ঔপনিবেশকোত্তর ঔপনিবেশিক মানসিকতায় প্রভাবিত। শুনেছিলাম, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ নিয়ম করেছেন, শিক্ষকদের ইংরেজিতে লেকচার দিতে হবে। সম্প্রতি আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও নাকি এরকম নির্দেশ জারি করা হয়েছে। নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, সিলেটি উচ্চারণে যারা লেকচার দেন তা ক্লাশে শুনলে আপনারা কী মন্তব্য করবেন জানিনা। ছাত্ররা ইংরেজি কতটুকু জ্ঞান অর্জন করে আসছেন তা আমরা জানি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও একদিন শিক্ষকদের আসতে হয় না। অনলাইনে ক্লাস নেন। সেটি কতখানি সমুচিত স্বাভাবিক সময়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষই বলতে পারবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তথৈবচ।

আমার শিক্ষকরা বাংলায় আমার জ্ঞানচর্চাকে শুধু তাচ্ছিল্য নয়, পদ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অধস্তন করে রেখেছিলেন এ কারণে। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাংলা বাংলা বলে জান দিলেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করলেন। আর বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করে যারা ভিসি হলেন তারা চাপিয়ে দিচ্ছেন ইংরেজি জোর জবরদস্তি। ইংরেজি ভাষার বিপক্ষেতো নই। কিন্তু কেউ বাংলা ব্যবহার করলে এবং তাকে বাধা দিলে তা সংবিধান বিরোধী কিনা সেটি ভেবে দেখার বিষয়। এ অধস্তন, হীনম্মন্যতার প্রবণতা দেখবেন মানবিক ও সমাজবিজ্ঞানের শাখায় যেসব অধ্যাপক কাজ করেন তাদের মধ্যে। বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের লেখালেখিতে বিদেশিদের তত্ত্ব, উদ্ধৃতি। বাংলাদেশে এসব বিষয়ে যা লেখা হয়েছে তার কোনো উল্লেখ নেই। বাংলাভাষা না জেনে সে দেশের ওদের গবেষণা কতটা উন্নত তা বলব না। কিন্তু তাচ্ছিল্যটি লক্ষ্যণীয়। আমাদের মধ্যে এ ক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম বদরুদ্দীন উমর। অনেকে মনে করতে পারেন বিচারপতি মানিকই বোধহয় ইমতিয়াজের এ বই নিয়ে সমালোচনা করলেন। আসলে তা’নয়। ২০১৮ সালে ড. কৌস্তভ অধিকারী ও মোহাম্মদ এম রহমান জালাল এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত লেখেন। যারা একাডেমিশিয়ান (বিদ্বৎজন?) তারা বিচারপতি মানিকের লেখা গ্রহণ করতে না পারেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত নন বলে, কিন্তু এ দু’জন যদ্দুর জানি একাডেমিশিয়ান। তারা যে লেখাটি লিখেছেন এটি আগে পড়া উচিত। তবে সেটি ইংরেজিতে লেখা দেখে আলোচনায় আসেনি। আমি সে লেখা পড়েছি কিন্তু ইমতিয়াজের বই নিয়ে আগ্রহ দেখাই নি। তা’হলে বুঝতে পারতাম ইমতিয়াজ আসলে কী করতে যেয়ে কী করেছেন। চলবে…

লেখক: ইতিহাসবিদ ও অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ