Search
Close this search box.

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে

মুশফিকের হাফসেঞ্চুরিতে ২৪৬ রান করল বাংলাদেশ

মিথুন আশরাফ – বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। মুশফিকুর রহীমের ৬১, নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৪ রানের পর বোলিংয়ে ভালোই করছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হতে দিল না।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। চেমসফোর্ডে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৪৬ রান করে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত (৪৪) শুরুতে একটু হাল ধরেন। পরে মুশফিকুর রহীম (৬১) যতটা এগিয়ে নিয়ে যান। পেসার জস লিটল ৩ উইকেট শিকার করেন।

শুরুতেই বাংলাদেশ পেসাররা আয়ারল্যান্ডের দুই উইকেট শিকার করে নেন। তৃতীয় উইকেটে একটু এগিয়ে যায় তারা। ৬৩ রান করে ফেলে। তখন তাইজুল এসে উইকেট নেন। এরপর যখন আর ২ রান যোগ হয় বৃষ্টি নামে। খেলা বন্ধ থাকে। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে আর বল গড়ালো না। ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে গেল।

শুরু থেকেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলের ১৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস (০) ও তামিম ইকবাল (১৪) আউট হয়ে যান। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান মিলে দলকে ৫০ রানে নিয়ে যান। দলের ৫২ রান হতেই সাকিবও (২০) আউট হয়ে গেলে বিপত্তি বাড়ে। এরপর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন শান্ত। দলকে ১০২ রানেও নিয়ে যান। নিজেও হাফসেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থাকেন। এমন সময়ে ৬৬ বলে ৭ চারে ৪৪ রান করে আউট হয়ে যান শান্ত। দলের ১২২ রানে গিয়ে তাওহীদও (২৭) সাজঘরে ফিরেন। ৫ উইকেট হারিয়ে মহা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

খুব বেশিদুর কী যেতে পারবে বাংলাদেশ? এমন যখন আলোচনা চলছে, তখন মুশফিকুর রহীম ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে হাল ধরেন। দুইজন মিলে দলকে ১৫০ রানে নিয়ে গিয়ে ২০০ রানেও নিয়ে যেতে থাকেন। দুইজনই অসাধারণ ব্যাটিং করতে থাকেন। চতুর্থ উইকেটে শান্ত ও তাওহীদের পর ৫০ রানের জুটি গড়েন মুশফিক ও মিরাজ। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের যে জুটি হয়, তাতে ভরসাও মিলে। যেভাবে উইকেট পড়ছিল, তা থেকে নিজেদের রক্ষাও করেন মুশফিক ও মিরাজ।

দল যখন দুইশ রানের কাছে চলে যায়, তখন মিরাজ (২৭) আউট হয়ে যান। দলের ১৮৭ রানে গিয়ে মিরাজ আউট হতেই ৬ উইকেটের পতন ঘটে। দুইজনের জুটি ৬৫ রানে থামে। মুশফিক ঠিকই এগিয়ে চলতে থাকেন। দলকে ২০০ রানে নিয়ে যান। হাফসেঞ্চুরিও করেন। ৬৩ বলে ৫০ রান করেন। ৪৪তম হাফসেঞ্চুরি করেন। দলের যখন ২২০ রান হয়, তখন ৭০ বলে ৬ চারে ৬১ রান করে আউট হন। দল যে বহুদুর যেতে পারবেনা তা আগেই বোঝা হয়ে যায়। মুশফিক আউট হতেই বড় সংগ্রহ গড়ার আশাও শেষ হয়ে যায়। দলের ২৩৯ রান হতেই তাইজুল ইসলামও (১৪) আউট হন। ২৪৩ রানে শরিফুল ইসলাম (১৬) সাজঘরে ফিরেন। ইনিংস শেষ হতে আর ৩ বল বাকি থাকে। শেষপর্যন্ত ২৪৬ রান করে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ ৪ ও ইবাদত হোসেন ১ রানে অপরাজিত থাকেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ