অবশ্য যে অবস্থায় ব্যাট হাতে ক্রিজে এসেছিলেন শান্ত, দলের জয়ের জন্য তখন ছিল পাহাড়সম রানের চাপ। কেননা এই ম্যাচে আইরিশরা সংগ্রহ করেছে ৩১৯ রান। তামিম ইকবালের বিদায়ের পর লিটন দাসকে নিয়ে ভালোই এগোতে থাকেন শান্ত। তবে লিটন যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন শান্তকে। ব্যক্তিগত ২১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ওপেনার লিটন। ২ উইকেট হারানোর পর সেই চাপ থেকে আশা দেখাতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানান, “আমার সত্যিই খুবই ভালো লাগছে। এটা দারুণ ছিল। আমার মনে হয় হৃদয় বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাকে সাহায্য করার মানসিকতা ছিল তার। এই আবহাওয়া খুবই ঠান্ডা, যা আমাদের জন্য খুবই কঠিন কন্ডিশন। আমরা শুধু আমাদের খেলায় মনোযোগ দিয়েছি।”
শান্ত আরও বলেন, “দর্শকদের ধন্যবাদ। আমার মনে হয়নি, আমরা দেশের বাইরে খেলতে এসেছি। আশা করি তারা আমাদের পরবর্তী খেলাতেও সমর্থন দিতে আসবে। শেষ ম্যাচেও আমরা ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্যই খেলব।”
এমন দুর্দান্ত জয়ে অধিনায়ক তামিম বলেন, “আমরা যখনই ইংল্যান্ডে খেলতে আসি, দর্শকদের সমর্থন আমাকে মুগ্ধ করে। মাঠের আকৃতি আর উইকেট দেখে আমাদের মনে হয়েছে, এই রান তাড়া করা সম্ভব। এটা তেমন মাঠ নয় যে, আপনাকে সবসময় চার-ছয়ের চিন্তা করতে হবে। অটোমেটিক বাউন্ডারি আসবে। যদি শান্ত-তাওহিদ হৃদয়রা এভাবে পারফর্ম করতে থাকে, তাহলে এটা বাংলাদেশের জন্য হবে দারুণ কিছু।”