স্টাফ রিপোর্টার- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আপনারা (বিদেশি পর্যবেক্ষকরা) আসুন, দেখুন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কাকে বলে। গাজীপুরসহ সব সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। কেউ আসুক বা না আসুক একই ধারা আগামী জাতীয় নির্বাচনেও থাকবে। এই নির্বাচনে বাধা দিতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশনে মাঠে নেমেছে বিএনপি। এটাই তাদের এক দফা। ১৪ বছরে জনগণের সাড়া না পেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা শেখ হাসিনাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের পথে নেমেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কোনো নেতা যদি খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিতো তখন আপনাদের কী অনুভূতি হতো? জানতে চাই আপনার কাছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা কাল হয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কর্মীদের অনুভূতি গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের মানুষ বুঝেছে। পঁচাত্তর আর ২০২৩ এক নয়। বিএনপির এটা অনুধাবন করা উচিত। সারাদেশ গর্জে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা হলে কী করবে? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপচাপ বসে থাকবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি চায় সংঘাত, অস্থিতিশীলতা, অশান্তি ও রক্তপাত। আর আওয়ামী লীগ চায় নির্বাচন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা কারও সঙ্গে সংঘাত, পাল্টাপাল্টি সংঘাতে যাবো না। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো এই অপশক্তিকে। এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। এজন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নির্দেশ সংঘাতে যাওয়া যাবে না। আমরা সংঘাত করবো না, কিন্তু সংঘাত আসলে চুপ করে বসে থাকবো? কেউ যদি গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসে চুপচাপ থাকবো? আঘাত এলে পাল্টা আঘাত দেবো না?
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। এতে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।