স্টাফ রিপোর্টার- প্রতারণার শিকার এক তরুণীকে দুবাই পাচারকালে হযরত শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এসময় প্রতারক চক্রের দুই সদস্য কে আটক করতে সক্ষম হয় এপিবিএন এর সদস্যরা। ভুক্তভোগী তরুনীর ছোট ভাইয়ের ফোনকল পেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে তাৎক্ষনিকভাবে ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানালে ওই তরুনীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আবদুল খালেক (৪৩), এবং মোঃ ফয়েজুল্লাহ । জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মিডিয়া অফিসার আনোয়ার সাত্তার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৯ মে সন্ধায় ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে একজন কলার যিনি উচ্চমাধ্যমিকের একজন ছাত্র জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাঁর বোনকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
ওই যুবক আরও জানায় তাঁর ছাব্বিশ বছর বয়সী বড় বোন এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে দুবাই যাচ্ছেন পার্লারে কাজ করার জন্য। তাঁরা ঢাকার খিলক্ষেতের মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন। কিন্তু ভিসার কপি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ইউএই দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ভিসাটি ভুয়া। কিন্তু ততক্ষণে প্রতারকচক্রের সাথে তাঁর বোন রওনা দিয়ে দিয়েছেন এবং তাঁর কাছে কোন ফোন নেই।প্রতারক চক্র তাঁর বোনকে নিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্ট চলে যাবে কিছুক্ষনের মধ্যে, কারণ রাত নয়টার ফ্লাইটে তাঁর বোনের দুবাই যাওয়ার কথা।
আনোয়ার সাত্তার জানান, ৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল মিজানুর রহমান কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনষ্টেবল মিজান তাৎক্ষণিকভাবে এয়ারপোর্ট থানা এবং ইমিগ্রেশন পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। ৯৯৯ ডিসপাচার এএসআই আসাদুজ্জামান সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশী তৎপরতার খোঁজ-খবর নিতে থাকেন।
পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব শাহনাজ বেগম ৯৯৯ কে জানান তাঁরা তরুণঅর যাত্রীর যাত্রা স্থগিত করে তাঁর ভাই এবং স্বামীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) প্রতারকচক্রের দুই দালালকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছে।
এ সংক্রান্তে এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।