নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। অনেক কাজ এগিয়ে গেছে ও চলছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরির। আগামীকাল কমিশন সভায় উঠবে। রোববার (২০ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। এ বছরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে ভোট করার কথা রয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের।
রাশেদা সুলতানা বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। সেই লক্ষ্যে কমিশনের সব কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের ট্রেনিং করা লাগবে। এজন্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড়জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোকবল প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
এ নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে। আগের মতো সবাইকে পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করতে হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরে তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা জানান, কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে আমরা নিয়োগ দেবো না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে আসতে হবে। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।