আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, মির্জা ফখরুল আহাম্মকের মতো মিথ্যা কথা বলেন। আজকে যে লোকের কথা বলা হচ্ছে, তিনি একটা মিথ্যা কথা বলেছেন। জোর করে একজন আসামির জবানবন্দি নিয়ে এ মামলায় তারেক রহমানকে জড়িত করা হয়েছে। এখন নাম বলতে হয়, মির্জা ফখরুল ইসলাম। তার অভ্যাস বিএনপির সবার মতো মিথ্যা কথা বলা।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে সন্ত্রাস-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের অভয়াশ্রম বিএনপি- জামায়াতের নির্দেশে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবসে শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ফখরুল মিথ্যা কথা বলতে বলতে কোন পর্যায়ের মিথ্যা বলেন, নিজেও ভুলে গেছেন। তিনি মূর্খের মতো একজন মিথ্যুক। একজন মিথ্যুক যদি সত্যকে মিথ্যা বানাতে চান, তাকে কষ্ট করতে হয়। একজন বুদ্ধিমান মিথ্যুক হলে, ধরতে দেরি লাগে। আর আহাম্মকের মতো যদি মিথ্যা কথা বলেন, সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যান। তিনি হচ্ছেন সেই আহাম্মকের এর মতো মিথ্যুক। কারণ হলো তিনি তথ্য না জেনেই কথা বলেন।
বিএনপির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম ভুলে গেছেন। মুফতি হান্নানকে অন্য কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন সেসব মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তখন এক পর্যায়ে মুফতি হান্নান বললেন, দেখুন, আমাকে তো ফাঁসিই দিয়ে দেবেন, আমি কিছু সত্য কথা বলতে চাই। কী সে সত্য কথা? পুলিশের কাছে বলব না, আমি বলব ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। তখন তাকে বলা হলো, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বললে তো ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি হিসেবে নিতে হবে। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বলে গেছেন। তিনি জবানবন্দিতে তারেক রহমানের সেই হাওয়া ভবনে কথার এবং এই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং হত্যা ষড়যন্ত্র কোথায় হয়েছে এবং সেটার আসল নায়ক কে, এসব বলে গেছেন। মির্জা ফখরুলকে বলব আপনি তথ্য জেনে নিয়ে কথা বলুন, তাহলে আপনাকে এতো মিথ্যাবাদী কেউ বলবে না।
আলোচনা সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।