বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘ভারতে যে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে, তা টোকেন হিসেবে। বাংলার মানুষের দু’দিনের খাবার তালিকার সমপরিমাণ মাছ। এতে ইলিশের বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না দেশে। ’ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বছরে ৬ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়। সেখানে ৫ হাজার মেট্রিক টন মাছ রপ্তানি করা নিয়ে এত কথা কেন? দুর্গাপূজার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ চেয়েছে, আমরা টোকেন হিসেবে তা রপ্তানি করবো। আর পুরো বিষয়টি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে।
দেশে উৎপাদিত ডিম ও আলুর দাম নির্ধারণ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যখন যে পণ্যের মজুদ কমে যায়, তখন সেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সরকার। সেটা দেশি বা বিদেশি পণ্য হতে পারে।
টিপু মুনশি বলেন, তিন পণ্যের বেধে দেওয়া দাম কার্যকর হবে। এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা।
কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যও রয়েছে। এখন ন্যায্য দাম কার্যকর হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিন পণ্যের যে দাম ঘোষণা করেছে তা কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে, মন্ত্রণালয়ের আছে চেষ্টাও। তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধা নিচ্ছেন।