বলিউডের দুই মেগাস্টার সালমান খান ও শাহরুখ খান বন্ধুত্বের কথা সবারই জানা। একে অন্যকে তারা ভাইও ডাকেন। তবে একটা সময় ছিল, যখন তাদের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। একের পর এক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়ে চলেছেন সালমান-শাহরুখ। তবে সেসব ছাপিয়ে কখনও কখনও তাদের ধর্ম পরিচয় বড় হয়ে দাঁড়ায় অনুরাগীদের মাঝে। মুসলিম পরিবারের জন্ম হওয়ার পরও তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বরাবর।
সালমান খান—নামটি শুনলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হবে তিনি একজন মুসলিম। কিন্তু আদৌ বলিউড ভাইজান মুসলিম নাকি হিন্দু—সে বিষয়ে অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। এর কারণ, তার বাবা বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার সেলিম খান ইসলাম ধর্মের অনুসারী আর মা সুশীলা চরক হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী।
যদিও ধর্ম নিয়ে সালমান কখনও লুকোচুরি করেননি। তিনি সবসময় এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। একবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কোনো ধর্ম নেই। আমার বাবা একজন মুসলিম, আমার মা একজন হিন্দু এবং আমি একজন মানব সন্তান।’
এর আগে অস্ত্র মামলায় যোধপুর আদালতে নিয়ম অনুযায়ী বক্তব্য রেকর্ডের সময় সালমানের ধর্ম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তখন কিছুক্ষণ ভেবে তিনি জানিয়েছেলেন, হিন্দু-মুসলিম দুটোই তার ধর্ম।
এ ছাড়া একাধিক সাক্ষাৎকারে সালমান জানিয়েছেন, তাদের বাসায় ঈদ উৎসব যেমন পালন করা হয়। তেমন পূজার আয়োজনও করা হয়। তার কাছে উৎসবটাই আসল।
অন্যদিকে শাহরুখ খানও ধর্ম নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিলেও এর থেকে নিজেকে একজন ভারতীয় বলে বেশি গর্বিত মনে করেন তিনি।
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছিলেন, তার পরিবারে ধর্ম নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না। তবে সব ধর্মের উৎসবই পালন করেন।
মাঝে মাঝেই বিভিন্ন মন্দিরে প্রার্থনা করতে যান শাহরুখ। সেকারণে তুমুল কটাক্ষের শিকার হন তিনি। সমালোচকদের ধারণা, নামেই কেবল মুসলিম তিনি। মূলত হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী এ নায়ক। যদিও নিজের ধর্ম প্রসঙ্গে বলিউড কিং বলেছিলেন, ‘আমার স্ত্রী হিন্দু। আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ধার্মিক নই, কিন্তু আমি ইসলামিক। আমি ইসলামের মূল দর্শনে বিশ্বাস করি। আর এও বিশ্বাস করি, এটা ভালো ধর্ম এবং সুশৃঙ্খল।’
সালমান-শাহরুখ মনে করেন, ধর্মীয় বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে অনুরাগীদের কৌতূহল থাকলেও তারা চান, এটা নিয়ে আলোচনা কম হোক। বরং কাজ হোক চর্চার বিষয়।