মঙ্গলবার গভীর রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বুধবার (১১ অক্টোবর) তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালতে তোলা হয়।
এসময় শুনানিতে এ্যানি কিছু বলবেন কিনা জানতে চান বিচারক। তখন তিনি বিচারকের সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি রাজনীতি করি। কোনো অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু আমাকে থানায় নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা কোন যুগে বসবাস করছি। আমি কি চোর, না ডাকাত? আমি এর বিচার চাই।
এ্যানি আরও বলেন, রাত ৩টার সময় তারা এসে আমার বাসার দরজা ভাঙছে। আমি বলেছি আমাদের বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা আছে। আমাকে যদি গ্রেপ্তার করতেই হয় আপনারা অপেক্ষা করুন। যেহেতু রাত ৩টা বেজে গেছে আমি ফজরের নামাজ পড়েই আপনাদের সঙ্গে যাব। তারপরও তারা দরজা ভেঙেছে। পাঁচ মাস আগের মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতদিন ধরে আমি রাস্তায় ছিলাম। কয়েকবার ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়েছি, মিটিং করেছি। তখন কেন ধরল না। রাত ৩টায় কেন আমাকে টেনে-হিঁচড়ে বাসা থেকে বের করে আনবে। আমি একজন ওপেন হার্টের রোগী। আমি এর বিচার চাই।
এরপর শুনানি শেষে বিচারক এ্যানির জামিন নামঞ্জুর করে চারদিনের রিমান্ড দেন। এর আগে তাকে ধানমন্ডি মডেল থানায় করা মামলায় তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শাহিদী হাসান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ মে সিটি কলেজের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের প্রায় ১০-১৫ হাজার নেতাকর্মী পদযাত্রা করেন। এরপর সমাপনী বক্তব্য শেষে চলে যাওয়ার আগে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, ইট-পাটকেল ও ককটেল নিয়ে পুলিশের সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারকে উৎখাত ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধন, গণপরিবহন ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, এসময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ অফিসার ও সদস্যরা আহত হন।