প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন তাঁর বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে ১৯৮৭ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিল। নূর হোসেনের আত্মত্যাগ স্বৈরাচারের পতনকে ত্বরান্বিত করে। আগামীকাল শুক্রবার (১০ নভেম্বর) শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দিবসে আমি নূর হোসেনসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৮৭ সালের এই দিন যুবলীগনেতা নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন তাঁর বুকে ও পিঠে গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক স্লোগান লিখে ১৯৮৭ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিল। নূর হোসেন আমার গাড়ির সঙ্গেই হাঁটছিল। মিছিলটি যখন জিরো পয়েন্টে পৌঁছে তখন স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিল লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা মারে, এরপরই গুলি করে। সে গুলিতে নূর হোসেন ও বাবুল নিহত হয়। এ ছাড়া যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুরনেতা আমিনুল হুদা টিটো শহীদ হয়। তাঁদের এ মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলকে বেগবান করে। সর্বস্তরের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে। স্বৈরাচারী সরকারের পতন আরও ত্বরান্বিত হয়।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন-সংগ্রামে আরও নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। জনগণ ফিরে পায় ভোট ও ভাতের অধিকার।
আমি নূর হোসেনসহ সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
