প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। ভোট চুরির সংস্কৃতি শুরু করেছিল জিয়াউর রহমান।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া সরকার গঠন করেনি। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। বিএনপির সময় সাক্ষরতার হার ছিল ৪৭ শতাংশ। আর আওয়ামী লীগ সরকার সেটি নিয়ে এসেছে ৭৬ শতাংশ। বাংলাদেশকে দেখে এখন আর কেউ বলতে পারবে না এটি দরিদ্র দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ, হাত পেতে চলার দেশ। আমরা এখন একটা মর্যাদাশীল দেশে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জাতির পিতার হত্যাকারীদেরকে ইনডেমনিটি জারি করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে। বিচারের হাত থেকে তাদেরকে মুক্ত রাখে। যুদ্ধাপরাধী, নারী ধর্ষণকারী, লুটপাটকারী, গণহত্যাকারী, অগ্নিসংযোগকারী, যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়েছিল তাদেরকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি, পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল তাদেরকেও ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসায়। ভোট চুরির যে কালচার, ডাকাতির যে কালচার, সেই কালচার তারা (বিএনপি) শুরু করে। আমি ধন্যবাদ জানাই উচ্চ আদালতকে, অবৈধ ক্ষমতার দখলকে অবৈধ ঘোষণা করার জন্য।
জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত রয়েছেন সবাইকে এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যারা সংযুক্ত রয়েছেন, যাদের আমি দেখতে পাচ্ছি, আর যাদের দেখতে পাচ্ছি না সবার জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি। চোখে না দেখলেও মনে রাখবেন, বাংলাদেশের জনগণ যে যেখানে থাকেন আপনারা আমার হৃদয়ে আছেন। আমার হৃদয়ে আপনাদেরকে ধারণ করি।
পরে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।