সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সামরিক বাহিনীকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২১ নভেম্ভর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই স্পষ্ট। সেটি হলো, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরিতা নয়। তবে সার্বভৌমত্বে কোনো আঘাত এলে যাতে প্রতিহত করা যায়, সেই প্রস্তুতি সামরিক বাহিনীতে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর দেশে কোনো গণতান্ত্রিক ধারা ছিলো না। যার ফলে দেশে কোনো উন্নতি দৃশ্যমান ছিলো না। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তখন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করি। মাত্র পাঁচ বছর আমরা সময় পেয়েছিলাম, এরপরও সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতার শুরু করে যাওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম আমরা এগিয়ে নিয়ে যাই।
ধারাবাহিক গণতন্ত্র না থাকলে দেশ উন্নত হতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর গত ১৫ বছরে আমরা যে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি এখন যাদের বয়স ১৫-২০ বছর তারা ভাবতেও পারবে না বাংলাদেশ একসময় কেমন ছিল। গ্রামের মানুষও শহরের সব সুবিধা পাবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সে লক্ষ্যে ‘আর্ম ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই সাথে আরও অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি বা এগিয়ে চলা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বিশ্ব দরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই আমরা।
এ সময় চলমান হরতাল-অবরোধ নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, জনগণকে হত্যা করে সেই লাশের ওপর পা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা যারা করে তাদের মতো অমানবিক আমি আর কোথাও দেখি না। ভাবতে অবাক লাগে।
তিনি বলেন, জানি না, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরে… কেন মারে সেটিই আমার কাছে প্রশ্ন? আর এই যে সাধারণ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, বাসে আগুন দেওয়া, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা, এটি কী কারণে, তা আমার কাছে এখনো বোধগম্য না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটির পর একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি। যেমন, কোভিড-১৯ আমরা মোকাবিলা করলাম। এ ছাড়া অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা ধরনের ঝামেলা মাঝে মাঝে শুরু হয়।
এর আগে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সকালে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। দিবসটি উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।