নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্স সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আগের জনবল কাঠামো দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। প্রায় আড়াই লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত লোহাগড়া উপজেলার একমাত্র সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোরে প্রায় ২০০ রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। এখানে ১০ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্তব্যরত আছেন ৭ জন চিকিৎসক। গুরুত্বপূর্ণ সার্জারি, গাইনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। দুর্ঘটনা কিংবা অন্য কোনও জরুরি প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারের জন্য মুমূর্ষু রোগীকে ১৭ কিলোমিটারের দূরের সদর হাসপাতাল কিংবা অন্য কোথাও পাঠাতে হয়।গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় নারীরা এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ না থাকায় সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে চরম বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৮০ জন। প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন রোগী ভর্তি থাকলেও কর্তব্যরত ২৬ জন নার্স হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। পদসৃষ্টির মাধ্যমে এখানে আরও ১০ জন নার্সের পদায়ন একান্ত জরুরি বলে জানান আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ হাসপাতালে মাত্র একজন ক্লিনার রয়েছেন। হাসপাতালটি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে একজন ক্লিনারের পক্ষে কাজটি করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন বলেন, ‘লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্স সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি।