Search
Close this search box.

হার দিয়ে নিউজিল্যান্ড সফর শুর করল বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টির এই জমানায় ৩০ ওভারে ২৪০ রান তারা করা খুব একটা কঠিন বিষয় না বলা যায়। বাংলাদেশও সেই পথেই হেঁটেছিল কিন্তু গন্তব্যে পৌছাতে পারেনি ঠিকঠাক। ডানেডিনে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটা হেরে সফর শুরু করেছে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অ্যাডাম মিলনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রানের খাতা খোলার আগেই।

এরপর আনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে ঘুরে দাঁড়ালেও শান্তর (১৫( ব্যর্থতায় জুটি ভাঙে ৪৭ রানের মাথায়। বিজয় একপাশ আগলে রেখে অর্ধশতকের কাছে পৌঁছালেও ৩৯ বলে ৪৩ রান করে কট এন্ড বোল্ড হন জশ ক্লার্কসনের বলে।

লম্বা ছুটি কাটিয়ে ফেরা লিটন দাস করেন ২২ (১৯) রান। অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম এদিন ৪ রান করে ক্যাচ দেন রবীন্দ্র জাদেজার বলে। তাওহীদ হৃদয় জ্বলে ওঠার আভাস দিলেও নিভে যান ২৭ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ রান করে।

আফিফ হোসেনের ব্যাটে আসে ২৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান। মেহেদী মিরাজ অপরাজিত থাকলেও ম্যাচ বের করতে ব্যর্থ হন। ৩০ ওভারে বাংলাদেশ থামে ৯ উইকেটে বরাবর ২০০ রান তুলে।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মিলনে, ইশ সোধী ও জশ ক্লার্কসন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামলে দুই কিউই ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র আর হ্যানরি নিকলসকে শরিফুল ইসলাম ফেরান রানের খাতা খোলার আগে। এরপর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রানের গতি বাড়ান উইল ইয়াং ও টম ল্যাথাম। দুজনের জুটি থেকে আসে ১৪৫ রানে ১৭১ রান। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের সর্বোচ্চ ১৩১ রান ছিল ২০১৫ সালে মার্টিন গাপটিল ও রস টেলরের।

দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় মেহেদী মিরাজের বলে বোল্ড হন ৯২ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা। ল্যাথাম ভুল করলেও ওপেনার উইল ইয়াং সেই ভুল করেননি। ৮১ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ইয়াং তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১০৪ (৮৩) রান করে রান আউট হয়ে ফিরেন ইয়াং।

বাংলাদেশের পক্ষে ২টি উইকেট নেন শরিফুল, ১টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ