কোথাও রান পাচ্ছিলেন না সৌম্য সরকার। তবে হুট করেই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় সমালোচনা হয়েছে নির্বাচক এবং কোচকে নিয়ে। ডানেডিনে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফেরার পর তো সেই সমালোচনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
তবে সৌম্য সেসব সমালোচনা তো পেছনে ফেলেছেনই, ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তী ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকারকেও। বাংলাদেশের মোট রানের অর্ধেক রানই এসেছে সৌম্যর ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার ভোরে নেলসনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশ। ১৭ ওভারে ৮০ রান করতেই ছিল না ৪ উইকেট। তবে সৌম্য একপাশ আগলে রেখে রান তুলেছেন দ্রুত।
১১৬ রানে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে রান তোলার গতি আরও বাড়িয়ে দেন সৌম্য। সৌম্য আউট হন ১৫১ বলে ২২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৬৯ রান করে। তাতে পেছনে পড়েছে শচীনের রেকর্ড। নিউজিল্যান্ডের মাঠে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এখন সৌম্যের। ২০০৯ সালে শচীনের করা ১৬৩ রান এখন নেমে গেছে দুইয়ে।
সৌম্য ছাড়া মুশফিকুর রহিম করেন ৫৭ বলে ৪৫ রান, মেহেদী মিরাজের ব্যাটে আসে ১৯ রান। তাওহীদ হৃদয় (১২) আর তানজিম সাকিব (১৩) ছাড়া বাকি ব্যাটাররা পার করতে পারেনি দশ রানের কোঠা।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সমান ৩টি করে উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি ও উইলিয়াম। ১টি করে উইকেট নেন অ্যাডাম মিলনে, জশ ক্লার্কসন ও আদি আশোক।