যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি নিয়ে সরকার মোটেও অস্বস্তিতে নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতি নিয়ে সরকার সামান্যতম অস্বস্তিতে নেই উল্লেখ করে বলেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপি অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরেও আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের মতো আমাদের মন্তব্য হচ্ছে- এই নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচন আমাদের দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সাহসিকতার কারণে আমরা দাবি করতে পারি যে, দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রয়েছে। নির্বাচনের পরেও বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা করছে।
আবারও সহিংসতার জন্য বিএনপি প্রস্তুত হচ্ছে উল্লেখ বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতি করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের অনুপস্থিতিতেও কেন্দ্র ভোটারশূন্য হয়নি, অপ্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়নি। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে নির্বাচনে ৪০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি হয় না। ইউরোপের অনেক দেশে সব দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরও ২৫-৩০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়।
তিনি বলেন, বাধা এবং প্রতিকূলতার মুখে নির্বাচনে জনগণের যে অংশগ্রহণ হয়েছে, তা অনেকেই ভাবতে পারেনি। এত অপপ্রচারের পরও ৪২.৮ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। আমাদের এখানে অগণতান্ত্রিক পন্থায় একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা ছিল, এখনো নেই সেটিও বলা যায় না। দেশের জনগণ গণতন্ত্রের অকৃত্রিম পাহারাদার হিসেবে অগণতান্ত্রিক কিছু মেনে নেয়নি, মেনে নেবেও না।
এসময় স্বতন্ত্র না জাতীয় পার্টি কারা বিরোধী দল তা ৩০ জানুয়ারি স্পষ্ট হবে বলেন ওবায়দুল কাদের।