Search
Close this search box.

সরকার পতনের পরদিনই চেয়ারম্যান ও সচিবের কক্ষে ঝুলছে তালা

প্রশান্ত রায় চৌধুরী জুন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদে কার্যক্রম চলচ্ছে কিন্তু মনে হচ্ছে যেন ছোট বেলার পাঠশালা চলছে। বেশ কিছু দিন যাবত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ। চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক কর্মস্থলে না থাকায় পরিষদের দায়িত্ব পালনে তৈরি হয়েছে সংকট। নিয়ম অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ইউপি সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। এতে পরিষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে, ভোগান্তিতে পড়ছেন ইউনিয়নের বাসিন্দারা।


গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরদিনই চেয়ারম্যান ও সচিবের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জালাল উদ্দীন।নিয়ম অনুযায়ী, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে পরিষদের কাঠামো অনুযায়ী ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউর রহমান ও ২ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান সুমিত্রা রানী রায় দায়িত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নির্দেশনা ২৫ আগস্ট প্যানেল চেয়ারম্যান মো: সিরাজুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এবং সুষ্ঠ ভাবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রয়েছে। মো:সিরাজুল ইসলাম সঠিকভাবে কার্যক্রম বাধাগ্রস্হ হচ্ছে, এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ জনগণ। কয়েকজন সদস্যের বাধার মুখে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এ বিষয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে তিনি লিখিত অভিযোগও করেছেন।পথে প্রান্তের প্রতিবেদক ফাজিল পুর এলাকার সাধারন মানুষ বলেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামর বিরুদ্ধে , ‘জালাল মেম্বার পরিষদের সদস্যদের হুমকি দিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছেন। এতে পরিষদের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’
প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বারান্দায় বসে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করছেন। পরিষদের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নাজুক। তবুও চেস্টা চালিলে যাচ্ছে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান মো: সিরাজুল ইসলাম সেবাগ্রহীতারাও কাঙ্ক্ষিত সেবা যেন পায়। পরিষদ ভবনের সঙ্গে লাগোয়া টয়লেট থেকে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। সেখানে নোংরা পানির সঙ্গে জমে আছে ময়লার স্তূপ।


পরিষদের সচিব মাসুদা আক্তার জানান, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি এবং পরিষদ সদস্যদের দ্বন্দ্বে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ৯ জন কে মাতৃত্বকালীন ভাতা ও টিসিবির পন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে দেওয়া হয়েছে, জনসাস্থ্যের জন্য নয়টি চাপকল ও একটি সাবমার্সেল বসানো হয়েছে। এবং এডিবি, রাস্তা ড্রেন বক্স কালভার্ট চাহিদা পত্র প্রদান করা হয়েছে এবং ইজিপিপি মাটির রাস্তা পাঁচটি প্রজেক্ট জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে ৩৮৪ জন মহিলা এবং পুরুষ ৪০০ টাকা হারে পারিশ্রম গ্রহণ করতে পারবে। ২০২৪ ২৫ অর্থবছরের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থাপন কর্মসূচির আওতায় চাহিদা পত্র দেয়া হয়েছে যানিয়েছেন মাসুদা পারভিন, প্রসাশনীক কর্মকর্তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ