বিএনপি হিংসার আগুনে জ্বলছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন এখন হাসি তামাশায় পরিণত হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার তাদের আছে। যদি কর্মসূচির নামে ২৮ অক্টোবরের মত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পুড়িয়ে মারা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।
বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাদের বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট রূপ রেখা কেউ দেখেনি। তাদের আন্দোলনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়, একবার তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আবার তারা নির্বাচন বানচালের আন্দোলন করে। আসলে তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে, তারা রাজনৈতিক আন্দোলনকে হাসি তামাশায় পরিণত করেছে। তথাকথিত আন্দোলনের কর্মসূচিতে এখন ঘোড়াও হাসে।
‘তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমরা বাধা দেবো না, আন্দোলনের নামে সংঘাত করতে চাইলে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো, আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।’
টানা চারবার নির্বাচিত হওয়ার পর বিদেশি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি কতটা জরুরি এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বীকৃতি, এটা অভিনন্দন, এটা গণতন্ত্রের একটা রীতিনীতিতে পরিণত হয়েছে। এটা এখন নতুন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হলে পৃথীবির বিভিন্ন দেশ, বন্ধু রাষ্ট্ররা অভিনন্দন জানায়। ভারতে প্রধানমন্ত্রীর বেলায় যেমন, ইংলেন্ডের প্রধানমন্ত্রীর বেলায় যেমন, এমনই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের যারা বন্ধুরাষ্ট্র, এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রদানমন্ত্রীর অনুরক্ত অনেকে আছেন, তারা তাকে অভিনন্দন জানাবেন এটাইতো স্বাভাবিক।
‘এটা তো অস্বাভাবিক কিছু না, বা নতুন করে চালু করার কোনো বিষয় না। আমি নির্বাচিত হয়েছি, আমার স্বজনরা, বন্ধুরা অভিনন্দন জানাবে এটা তো স্বাভাবিক। আমরা কারও অভিনন্দনের জন্য, চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বসে আছি, এমন দেউলিয়া একটা নির্বাচিত সরকার এমন দেউলিয়া অবস্থায় পড়েছে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।’
বিএনপি হিংসায় জ্বলছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি হিংসায় জ্বলছে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পরেও বিপুল সংখ্যাক মানুষ ভোট দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দলকে নির্বাচিত করেছে, এই হিংসার আগুনে তারা জ্বলছে।’
কাদের বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এবং সেই লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটা সেল কাজ করছে এবং কীভাবে পরিস্থিতির অবনতি, মূল্যস্ফীতির বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে এবং ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
‘দ্রব্যমূল্য এখন সারা বিশ্বে একই অবস্থা, ইউরোপে গড় মূল্যস্ফীতি ১০.৫। যুদ্ধও বাড়ছে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, যুদ্ধও বাড়ছে জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে। যুদ্ধের ক্ষেত্র দেখুন বাড়তেই আছে। মাঝে মধ্যে মনে হয় পৃথিবীটা একটা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, মনে হয় সারা দুনিয়াটা একটা যুদ্ধক্ষেত্র। এর প্রভাব দ্রব্যমূলে পড়বেই। এটা আমরা চাইলেই রুখতে পারবো না।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।