রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। তবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে ও মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ছোট সাইজের প্রতিকেজি পাবনার পেঁয়াজ ৮৬ থেকে ৮৮ টাকা ও বড় আকারের পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল যথাক্রমে ৮০ থেকে ৮২ টাকা ও ৮২ থেকে ৮৪ টাকা।
গত সপ্তাহে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় কেজি বিক্রি হওয়া ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৮৪ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি রাজশাহীর পেঁয়াজ ৮২ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গত সপ্তাহে ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হওয়া মানিকগঞ্জের পেঁয়াজ ৮৬ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ আগের দামে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতীয় যে পেঁয়াজটি বাংলাদেশে উৎপাদন হয় সেটি ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮৫ থেকে ৮৭ টাকা। চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম এর থেকে আরও অনেক বেশি।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। পরে নতুন দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় দাম কিছুটা কমে স্থিতিশীল হয়। এখন আবার দাম বাড়ছে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে একেক বিক্রেতা এক এক রকম অজুহাত দেন। তবে প্রত্যেকেই বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও ঘাটতির কথা জানান।
নুরু নামে এক বিক্রেতা বলেন, ঠাণ্ডার কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ কম তুলছেন। যার কারণে বাজারে পেঁয়াজ কিছুটা কম আছে। এজন্য দাম বাড়ছে।