আবারও মিয়ানমারের ছোড়া একটি মর্টারশেল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের অভ্যন্তরে বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। এতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বসত-বাড়ির জানালা ও গাছ বিধ্বস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়িতে এসে পড়ে মর্টারশেলটি।
মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামে ছেলে মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বসতবাড়িতে একটি মর্টারশেল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় বসতবাড়ির জানালা ও গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রচণ্ড শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে, এতে কেউ আহত হননি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত হয়ে মর্টারশেলের অংশ নমুনা হিসেবে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এতে ঘটনাস্থলেই এক রোহিঙ্গা শ্রমিক (৫৫) নিহত হন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান হোসেন আরা। তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী বাদশা মিয়ার স্ত্রী। ওই রোহিঙ্গা ব্যক্তি ওই বাড়িতে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করতেন। তার পরিচয় জানা যায়নি।