শরীয়তপুর প্রতিনিধি: সেনাবাহিনীর প্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের দেশে যদি বর্হিশত্রু আক্রমণ করে সেটাকে আমরা প্রতিহত করব। বর্ডার ভায়োলেশন হচ্ছে তার জন্য বর্ডারগার্ড, কোস্ট গার্ড আছে, তারা বিষয়টা তদারকি করছে। আমরা সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছি, এর চেয়ে লেভেল অন্যদিকে গেলে সমুচিত ব্যবস্থা আমরা নেব।’
আজ শনিবার দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ ও মায়ানমার বর্ডারে উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।
এসএম শফিউদ্দিন বলেন, ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০ সাল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আধুনিকায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই প্রতিফলন ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রদত্ত দায়িত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। সেই কাজে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে।’ সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় প্রণীত হয় ফোর্সেস গোল-২০৩০। আজকের এই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আরেক ধাপ বাস্তবায়িত হলো।’
এর আগে, পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে সেনাবাহিনীর নতুন ইউনিটের সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এসময় তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং বীর শহীদদের যাঁদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা। পরে সেনাবাহিনীর প্রধান শেখ রাসেল সেনানিবাস চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। এসময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলমসহ অনুষ্ঠানে সেনাসদরের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা।