Search
Close this search box.

দৈনন্দিন যেসব অভ্যাস মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

লাইফস্টাইল: শরীরের কাজ করার জন্য অনেক শক্তি প্রয়োজন, যা আমরা খাদ্য থেকে পাই। ঠিক তেমনি মস্তিষ্কের কাজ করার জন্যও শক্তি প্রয়োজন। আমরা সবাই শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিলেও,মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিই না। অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নয়। শরীরের অন্যান্য অংশের মতো, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের শরীর সম্পূর্ণরূপে মস্তিষ্কের ওপর নির্ভর করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরের অন্যান্য অংশের মতো, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন সেসব কী কী জেনে নেওয়া যাক:

স্বাস্থ্যকর খাবার

আমাদের খাবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। মাছ, অলিভ অয়েল ও বাদাম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এসব খাবার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

শারীরিক কার্যকলাপ

বিশেষজ্ঞদের মতে ব্যায়াম শুধু শরীরের জন্য নয় মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। গবেষণা দেখা গেছে নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ মস্তিষ্কে রক্ত ​​​​প্রবাহ বাড়ায়, নতুন নিউরনের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। জার্নাল অফ আলঝেইমার ডিজিজে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে ব্যক্তিরা নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপে যুক্ত থাকেন তাদের স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কম থাকে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়াম করুন।

বিরতি

স্মৃতিশক্তি, সমস্যা সমাধান এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মস্তিষ্কের ফাংশনগুলোর জন্য ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময়, মস্তিষ্ক স্মৃতিকে একত্রিত করে এবং বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে। গবেষণা অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের ভালোভাবে কাজ করার জন্য প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুম ভালো না হলে মস্তিষ্কের বিশ্রাম হয় না। এর ফলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এজন্য ঘুমের একটি রুটিন তৈরি করুন।

মস্তিষ্ক সচল রাখুন

মস্তিষ্ককে সচল রাখতে নানা ধরনের কাজে মস্তিষ্ককে যুক্ত হতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন কার্যকলাপ যেমন- ধাঁধা মেলানো, বই পড়া, নতুন ভাষা শেখা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উদ্দীপক কার্যকলাপে নিযুক্ত থাকা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।

মেডিটেশন

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলে মেডিটেশন। নিয়মিত এই অনুশীলন মানসিক চাপ কমাতে, মনের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশন স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ