স্টাফ রিপোর্টার: বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানিকারকদের পরিশ্রম ও তাদের কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি জানাতে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২১-২২ সম্মাননা প্রদান করতে যাচ্ছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। এই স্বীকৃতি প্রদান করা হবে আগামীকাল রোববার। ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পাবে ৭৭টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পাবে একটি প্রতিষ্ঠান।
রোববার (১৪ জুলাই) জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বিশেষ অতিথি থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি অডিটোরিয়ামে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত বাছাই কমিটির মাধ্যমে মোট ৩২টি খাতের রপ্তানিকারকদের মধ্য থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য রপ্তানি আয়, আয়গত প্রবৃদ্ধি, নতুন পণ্যের সংযোজন, নতুন বাজারে প্রবেশ, কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন ইত্যাদি মূল্যায়নপূর্বক ট্রফি বিজয়ী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেছে। প্রতিটি খাতের জন্য কৃতি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, রোপ্য ও ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদান করা হবে। এছাড়া সব খাতের মধ্যে হতে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি শিরোনামে ১টি বিশেষ ট্রফিসহ (স্বর্ণ) মোট ২৯টি স্বর্ণ, ২৭টি রৌপ্য এবং ২১টি ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠান ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে ট্রফি প্রদান করবেন।
আসসানুল ইসলাম টুটু বলেন, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত বাছাই কমিটির মাধ্যমে মোট ৩২টি খাতের রপ্তানিকারকদের মধ্য হতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রপ্তানি আয়, আয়গত প্রবৃদ্ধি, নতুন পণ্যের সংযোজন, নতুন বাজারে প্রবেশ, কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন ইত্যাদি মূল্যায়ন করে ট্রফি বিজয়ী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়েছে। প্রতিটি খাতের জন্য কৃতি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া সব খাতের মধ্যে হতে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি’ শিরোনামে ১টি বিশেষ ট্রফিসহ (স্বর্ণ) মোট ২৯টি স্বর্ণ, ২৭টি রৌপ্য এবং ২১টি ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি দেশের কৃতি ব্যবসায়ীরা সরকারি পর্যায়ের এ স্বীকৃতির মাধ্যমে আরও উজ্জীবিত হবেন এবং অধিক পণ্য ও সেবা রপ্তানিতে নিজেদেরকে নিয়োজিত করবেন। রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদন, পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতকরণ, বহুমুখী পণ্যের উদ্ভাবন ও অব্যবহৃত বাজাররে বাজারজাতকরণ এখন সময়ের দাবি। এক্ষেত্রে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ, নতুন বাজার অন্বেষণ ও বাজার গবেষণা ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও পরিবর্তনশীল বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্য সামগ্রীর বিপণন, আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদানুযায়ী পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন, নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন, পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণ, আমদানিকারকদের নিকট সময়মতো পণ্য উপস্থাপন, বাজারে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ়করণ এবং সর্বোপরি বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানিকারকগণের অক্লান্ত পরিশ্রম ও তাদের পারফর্মেন্সের স্বীকৃতি হচ্ছে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি।
আগামীকালের ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন— বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ট্রফি বিজয়ীদের মধ্য হতে ২ জনের (১ জন নারী ও ১ জন পুরুষ) ট্রফি লাভের অনুভূতি ব্যক্ত করার সুযোগ থাকছে।