স্টাফ রিপোর্টার: সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক বন্যার্তদের উদ্ধার, চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ সহায়তায় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় (২৬ আগস্ট) সর্বমোট ৩ হাজার ৫৬৭ জন বন্যাদুর্গত ব্যক্তিকে হেলিকপ্টার ও বোটযোগে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বমোট ২১ হাজার ৫৫৯ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী, ১২ হাজার ৯৯৩ কেজি শুকনা রশদ, ৪ হাজার ৬২০ জনকে রান্না করা খাবার এবং ৫ হাজার ৬৪০ লিটার পানি বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে সাতটি অস্থায়ী মেডিকেল টিমের মাধ্যমে সর্বমোট ২ হাজার ২১৭ জনকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গতকাল (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জল, স্থল ও আকাশ পথে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। মানবতার সেবায় পরিচালিত এই অভিযানকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ ২১টি হেলিকপ্টার সর্টির মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
উল্লেখ্য, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৬ জন মুমূর্ষ রোগীকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হতে উদ্ধারপূর্বক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে; যাদের মধ্যে তিনটি শিশু, ছয়জন অন্তঃসত্ত্বা নারী, দুজন পক্ষাঘাতগ্রস্তরোগী ও পাঁচজন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সত্ত্বেও ২ হাজার ১৪৭ প্যাকেট ত্রাণ ফেনী সদর, ফাজিলপুর, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, পরশুরাম ও মধুগ্রাম এলাকায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যাকবলতি পাইকগাছার দুর্গত মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদশে নৌবাহিনী। একইসঙ্গে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অব্যাহতভাবে বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে। দুর্যোগপূর্ণপরিস্থিতি মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীর এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।