স্টাফ রিপোর্টার: একের পর এক হত্যা মামলার আসামি হচ্ছেন দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা। পালিয়ে যাওয়ার ২২ দিন পরও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আরও চারটির। এনিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ৭০টি। যার ৬০টিই হত্যা মামলা। অপর মামলাগুলো মানবতাবিরোধী, গণহত্যা, অপহরণ এবং বিএনপির মিছিলে হামলার মামলা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত দুলাল ওরফে সেলিমের ভাই মোস্তফা কামাল। গত ৩ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় নিহত হওয়া সেলিম ছিলেন ঠিকানা পরিবহনের হেলপার।
এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, রমেশ চন্দ্র সেন, শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, আসাদুজ্জামান নূর, মশিউর রহমান মোল্লা সজল, সাদ্দাম হোসেন, শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও সজল কুণ্ড।
অপর মামলাটি হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাহেশ চৌধুরীর আদালতে। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের বসিলায় বুড়িগঙ্গা ফিলিং স্টেশনের মেশিন অপারেটর মনসুর মিয়া নিহতের ঘটনায় মামলাটি করেন ভাই আইনাল হক। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত মিরাজ হোসেনকে হত্যায় শেখ হাসিনাকে আসামি করে আরেকটি মামলা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে। গত ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের ডেমরা এলাকার সানারপাড়ে মিরাজ নিহত হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৯২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়। নিহতের ভাই খোরশেদ আলম এ মামলার বাদী হন।
গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বরে নাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে আরও একটি মামলায় প্রধান আসামি শেখ হাসিনা। এর বাইরেও ৪১ জনকে আসামি করা হয়। নিহতের ভাই সবুজ বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।
গত ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। পরে ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।