স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট এবং ফুটবলের পর বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় আরেকটি খেলা হলো হকি। কিন্তু ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও নানা সীমাবদ্ধতায় এই খেলাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। আবার নানান সংকটে ঘরোয়া পর্যায়ের খেলাও বন্ধ থাকে অনেক সময়।
অথচ, এই লিগই হকি খেলোয়াড়দের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। সেই লিগই হয় অনিয়মিত। সব মিলিয়ে নানা কষ্টের মধ্যেই জীবনযাপন করছেন হকি খেলোয়াড়রা। তাই এবার হকিকে সচল রাখতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান হকি খেলোয়াড়রা।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে একত্রিত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন হকি খেলোয়াড়। জাতীয় খেলোয়াড়দের অনেকেই বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি করায় তারা সশরীরে আসতে পারেননি। তবে যারা এসেছিলেন তারা জানিয়েছেন এদের প্রতি সমর্থন রয়েছে।
জাতীয় হকি দলের সিনিয়র খেলোয়াড় পুষ্কর ক্ষিসা মিমো বলেন, আমরা হকি খেলোয়াড়দের প্রধান চাওয়া লিগ যেন নিয়মিত হয়। লিগের ওপরই আমরা জীবন ধারণ করি। বিশেষ করে যারা কোনো সংস্থায় নেই, তাদের অনেক কষ্ট হয় লিগ না হলে।
এরপর জুবায়ের নিলয় বলেন, ফেডারেশন যেন নিয়মিত লিগ আয়োজন করে এবং ক্লাবগুলোও যেন সহায়তা করে হকির স্বার্থে এনএসসি-মন্ত্রণালয় এ রকম একটা নির্দেশনা দিলে খুব ভালো হয়।
ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের জন্য সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে। সেই সার্চ কমিটির সামনেও যেতে চায় হকি খেলোয়াড়রা। এই নিয়ে গোলরক্ষক সাইজউদ্দিনের ভাষ্য, আমরা এখন মাঠের খেলোয়াড়। হকির সমস্যা, সম্ভাবনা সবই বলতে পারব। সার্চ কমিটির সাথে আমরা পাঁচ থেকে ছয়জন বসতে চাই। আমাদের কথাগুলো শুনলে ও বাস্তবায়ন হলে হকির চিত্র পরিবর্তন হবে।
মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের ভেতরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে। তাই হকি খেলোয়াড়রা গেটের সামনে দাড়ান। জাতীয় দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের সাথে জেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন ছিলেন। স্টেডিয়াম থেকে পরবর্তীতে তারা লিখিত চিঠি দিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যান।