Search
Close this search box.

গণপিটুনিতে যুবলীগ নেতা নিহত

নোয়াখালী প্রতিনিধি: গণপিটুনিতে আব্দুস সহিদ (৪৩) নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় গণপিটুনির শিকার তিনজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী সদর উপজেলায়। গণপিটুনির একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবলীগ নেতা আব্দুস সহিদের মৃত্যু হয়।

পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় আটটি মামলা রয়েছে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি ছিলেন।

নিহত আবদুস সহিদ পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে। আর আহত ব্যাক্তিরা হলেন- মো. জামাল হোসেন (৪২) মো. জাবেদ (২৮) ও মো. রিয়াদ হোসেন (৩৬)।

গণপিটুনির ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, আব্দুস সহিদের হাত পেছন থেকে বাঁধা। ঘরের ফ্লোরে রেখে তাকে পিটুনি দিচ্ছে কিছু যুবকসহ কয়েকজন। এ সময় তারা তাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে এবং কেউ কেউ মাথায়, মুখে ও বুকে লাথিও দেয়।

জানা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ছাত্র-জনতার নামে কিছু লোক ইসমাইল মুহুরী বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় তারা ১টি পাইপগানসহ আব্দুস সহিদ, মো. জামাল হোসেন, মো. জাবেদ ও মো. রিয়াদ হোসেন নামে ৪ যুবককে আটক করে। পরে তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যায় তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে ১টি পাইপগানসহ আহত ৪ যুবককে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করে। পুলিশ আহতদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুস সহিদের মৃত্যু হয়।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে সহিদ সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ