মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় লায়লা আরজু (৫৮) নামের এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে নিজ বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাথুরা গ্রামে বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের পাশে সেকেন্দার আলীর তিনতলা ভবনের দোতলার একটি কক্ষের মেঝেতে লায়লা আরজুর গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে রয়েছে। ঘিওর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনাস্থলে তদন্ত করছে। উৎসুক এলাকাবাসী বাসায় ভিড় করছেন।
ঘিওর থানার পুলিশ, স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্তানেরা বিয়ে করার পর অন্যত্র থাকায় সেকেন্দার ও তার স্ত্রী ওই বাসায় থাকেন। তাদের সাংসারিক কাজের জন্য গৃহকর্মী সাইদা আক্তার ও তার স্বামী আবদুল হালিম সহযোগিতা করতেন। তারা প্রতিবেশী। আজ সকাল ৮টার দিকে লায়লার স্বামী সেকেন্দার স্থানীয় বানিয়াজুরী বাজারে সবজি কিনতে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পর বাসায় ফিরে দেখেন মেঝেতে তার স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। এরপর খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ঘিওর থানার পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার গৃহকর্মী ও তার স্বামীকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নিহত লায়লা আরজু রাতুরা গ্রামের মো. সেকেন্দার আলীর স্ত্রী। এই দম্পতির এক ছেলে ও মেয়ে। সন্তানদের বিয়ে হওয়ায় তারা অন্যত্র থাকেন। নিহত লায়লা আরজু দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
নিহতের স্বামী সেকেন্দার আলী জানান, ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীকে বাসায় রেখে তিনি সকালে কাঁচাবাজার করতে বাড়ি থেকে বের হন। সকাল ৮টার দিকে বাসায় এসে স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
বিয়য়টি নিশ্চিত করে ঘিওর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাসার গৃহকর্মী ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।