স্টাফ রিপোর্টার: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঙ্কটের কারণে গেলো নয় মাসে বন্ধ হয়েছে অন্তত দুইশ কারখানা। শুধু তাই নয়, অবস্থা এতোটাই খারাপ যে, নতুন ক্রয়াদেশও নেয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ-বিসিআই আয়োজিত সেমিনারে এসব বলেন উদ্যোক্তারা। এ সময় জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, কেবল ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ করে গেলো ৩ মাসে সাশ্রয় করা গেছে পৌনে চারশ কোটি টাকা।
দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতের জন্য অন্যতম প্রধান উপাদান, প্রয়োজনীয় গ্যাসের সরবরাহ। যা দীর্ঘদিন ধরেই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠছে উদ্যোক্তাদের কাছে। আমদানির আশ্বাসে, কয়েকগুণ দাম বাড়ানো হলে, সেখানেও সফল হতে পারেনি আওয়ামী সরকার।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি (এফবিসিসিআই) এ কে আজাদ বলেন, ‘চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে শুল্ক আরোপ করছে। ফলে দেশটির রপ্তানি কমবে। আর ব্যবাসাগুলো আসবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম এসব দেশে। অলরেডি আসা শুরু হয়ে গেছে, কিন্তু আমরা গ্রহণ করতে পারছি না। বতর্মান অর্ডারগুলো চাইলেই আমরা শিফটমেন্ট করতে পারছি না।’
ব্যবসায়ীরা বলেন, জ্বালানির বাইরে গেলো জুন থেকে শুরু হয় শ্রম অস্থিরতা। ফলে, সেখানেও উৎপাদনে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৩০ শতাংশ। তাই এই ক্ষতি কাটাতে গ্যাসের চুরি বন্ধ করে সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, গেলো দেড় দশকে অনিয়ম আর দুর্নীতির জঞ্জালে পরিণত হয়েছে পুরো ব্যবস্থা। কেবল সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ করে ৩ মাসে জ্বালানি আমদানিতে সাশ্রয় হয়েছে পৌনে চারশ কোটি টাকা।