গোলাম রব্বানী, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: নবান্ন উৎসবের সাথে মিশে আছে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালিদের পরিচয় পাওয়া যায় এই নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে। অগ্রহায়ণের শুরু থেকেই আমাদের গ্রাম বাংলায় চলে নানা উৎসব-আয়োজন।
তেমনি বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঋতুভিত্তিক নবান্ন উৎসব পালিত হলো জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে, ১৪৩১ বঙ্গাব্দের নবান্ন উৎসব ২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে। প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে বিকেল ৪টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জেলাবাসীর ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ধারা নতুন করে প্রাণ পায়।
নবান্ন উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল গান, কবিতা আবৃত্তি, পুঁথিপাঠ এবং অতিথিদের মধ্যে বই উপহার। কবিতা, গান আর আবৃত্তিতে আনন্দময় হয়ে উঠেছিল আয়োজন। বিন্নি চালের ফিরনির ঘ্রাণে পুরো আয়োজনটি হয়ে ওঠে সজীব ও প্রাণবন্ত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জনাব আফরোজা আক্তার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আব্দুল্লাহ-আল-মাহবুব, সদর থানার ওসি জনাব শাহেদ আল মামুন, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব আবু বক্কর সিদ্দিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জনাব আফরুজা আক্তার চৌধুরী বলেন, “নবান্ন আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম পুরাতন ঐতিহ্য। এটি কৃষি ও গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে আমাদের সংযোগ আরও সুদৃঢ় করে। এ ধরনের আয়োজন আমাদের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।”
বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, “নবান্ন শুধু উৎসব নয়, এটি বাঙালির হৃদয়ের একটি অনন্য অংশ। এ ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, “নবান্ন আমাদের শেকড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি উৎসব। জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে আমরা এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করার প্রয়াস চালিয়ে যাব।”
উৎসবটি সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয় এবং অনুষ্ঠানের পরিপূর্ণ আয়োজন সবার মধ্যে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়। জয়পুরহাটের মানুষ তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এমন উদযাপন দেখে গর্বিত।