স্টাফ রিপোর্টার: বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা, বিমানসেনা ও এমওডিসির (এয়ার) ৩৯ সদস্যদের মাঝে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘শান্তিকালীন পদক’ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে এই পদক প্রদান করা হয়। এতে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদকপ্রাপ্তদের মাঝে পদক বিতরণ করেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, বিমানবাহিনীতে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালে প্রণীত নীতিমালা অনুসারে বিমানবাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের মাঝে প্রতিবছর সর্বোচ্চ ৪০টি শান্তিকালীন পদক দেওযার বিধান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জন্য ৩৯ জন বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ও বিমানসেনাকে শান্তিকালীন পদক প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, অসীম সাহসিকতা ও দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রয়াত স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে মরণোত্তর বিমানবাহিনী পদক (ইইচ) প্রয়াতের স্ত্রী ও মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়াও একই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জন্য নির্বাচিত ছয়জন শ্রেষ্ঠ বিমানসেনা ও এমওডিসি (এয়ার) সদস্যদের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
পদক, ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ শেষে বিমানবাহিনী প্রধান সকলের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। শান্তিকালীন পদক এবং শ্রেষ্ঠ বিমানসেনা ও এমওডিসি (এয়ার)-এর ট্রফি ও সনদপত্রপ্রাপ্ত সদস্যদের বিমানবাহিনী প্রধান অভিনন্দন জানান এবং তাদের এই সম্মাননা কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ যা অন্যান্যদের মাঝে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান, ঘাঁটি বা ইউনিটের এয়ার অধিনায়ক, বিমান সদরের পরিচালক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিমানসেনা ও বেসামরিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।