Search
Close this search box.

রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় নেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজনৈতিক দল ও ধর্মী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বুধবার বিকেল চারটায়। পরেরদিন তিনি বসবেন ধর্মীয় নেতাদের সাথে। এর লক্ষ্য ঐক্যের ডাক দেওয়া।’

অবশ্য এর আগেই মঙ্গলবার ছাত্র নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রেস সচিব জানান, সন্ধ্যা ৬টায় এ বৈঠক শুরু হয়েছে।

গত সোমবার সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালায় দেশটির একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এ সময় তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুনও দেয় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ভারত–বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে এমন ঘটনা আগে কখনও হয়নি।

এ ঘটনায় সোমবারই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট তৎপর ছিল না।

এদিকে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে থাকা বাংলাদেশের হাইকমিশন, ডেপুটি হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ত্রিপুরা সরকার মঙ্গলবার তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত এবং একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সাথে সম্পর্ক চায়। তবে তা ন্যায্যতা ও সুসম্পর্কের ভিত্তিতে হতে হবে।’

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার জন্য তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচারকে দায়ী করেন। প্রেস সচিব বলেন, ‘ইদানীং কিছু ঘটনা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া আগ্রাসীভাবে অপতথ্য ছড়াচ্ছে। তাই জাতীয় ঐক্য জরুরি, দেশের ইমেজ জরুরি। অপতথ্য ছড়ানোয় জনগণের একটা অংশ মিসগাইড হয়ে এ হামলা করেছে।’

আগামী ৬ মাসের মধ্যে মার্কিন প্রতিষ্ঠান শেভরনের বকেয়া পরিশোধ করা হবে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘শেভরন ব্লক ১০ ও ১১ তে নেত্রকোনায় বিনিয়োগ করতে চায়। গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। শেভরনের সাথে ইস্যু ছিল, গত সরকার তাদের কোনো টাকা দেয়নি। ছয় মাসের মধ্যে এটা ক্লিয়ার হবে।’

নভেম্বরে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘দেশের অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে দেশি-বিদেশিদের। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

সর্বশেষঃ