পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও দেশবাসী তার কোন সুফল পায়নি। বারবার এদেশের জনগণ নির্যাতিত নিপিড়ীত হয়েছে। যার জন্য ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল। শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি ডলার চুরি করে পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জনগণ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে শহরের চাঁপাবিবি মসজিদ চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বিজয় নিয়ে হাজী মোহাম্মদ মহসিন রোড ধরে টেকনিক্যাল মোড় হয়ে ডিসি অফিস, আব্দুল হামিদ সড়ক পদক্ষিন করে ট্রাফিক মোড়ের শহীদ চত্ত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বানানো হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ধ্বংস করে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি বানিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছে। সেই নেতাদের কিছু কর্মীরা দেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। যার যার জায়গা থেকে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
৭১ সালের শহীদদের কথা স্বরণ করে তিনি বলেন, জন্মভূমি ও মাতৃভূমি কে রক্ষা করার জন্য জীবন দিয়েছে সেইসব শহীদ চির অম্লান হয়ে থাকবে। তাদের আত্মত্যাগের জন্যই আমরা সুন্দর দেশ পেয়েছি।২০ ২৪ সালে এদেশের ছাত্রজনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দ্বিতীয় বার স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই স্বাধীনতাকে নস্যাৎ হতে দেওয়া হবে না। স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি রক্ষাও আমরা করতে পারব। কোন শকুন চোখ রাঙাতে পারবে না।
তিনি বলেন আজকে যেই শহীদ চত্ত্বরে সমাবেশ করছি এখানেও দুজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে শহীদ করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। দু:খজনক হলেও সত্য যে ওই সব খুনিদের আজও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে জনগণ এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।
তিনি আরো বলেন হাসিনা সরকার জামায়াতে ইসলামীর আমীরসহ কেন্দ্রীয় সব নেতাদের জুডিশিয়াল ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করছে। এসব রক্তের প্রতিটি ফুটার বদলা নেওয়া হবে। যার বিনিময়ে এদেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা চালু হবে, ইনশাআল্লাহ ।
পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিষ্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর জহুরুল ইসলাম খান আপনা পৌর আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পাবনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম,পাবনা , সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুর রব, এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ , এসএম সোহেল, সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল আইনুল পাবনা পৌর সেক্রেটারি একরামুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মেডিসিন এন্ড ফুড ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০২৪ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান। এর আগে জামায়াত নেতৃবৃন্দ পাবনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা, আহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পাবনা পুলিশ সুপার মোরতজা আলী খান।
এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখার আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান সেক্রেটারি আব্দুল গাফফার খান , জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিষ্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ , এসএম সোহেল, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পাবনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম,পাবনা, সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল আইনুল পাবনা পৌর সেক্রেটারি একরামুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে বিসিক বিজয় মেলা পরিদর্শন করেন।