আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কীভাবে বাংলাদেশে লুকিয়ে থেকে দেশ ছাড়লেন?
উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, উনি কীভাবে জানলেন, তিন মাস লুকিয়ে ছিলেন? আমরা তো জানি না। যদি জানতাম, ধরে ফেলতাম। যদি কেউ খবর দিত যে উনি লুকিয়ে আছেন, আমরা নিশ্চিতভাবে তাকে ধরতাম। কোনো দৃষ্টান্ত দিন যেখানে আমরা কারও লুকিয়ে থাকার তথ্য পেয়েও ব্যবস্থা নিইনি। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, যারা দোষী নয়, তাদের কিছুই হবে না। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার আলোচনা হয়েছে। নির্দোষ কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং হবেও না। তবে সন্দেহজনক বিষয়ে তদন্ত ভিন্ন কথা।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো আছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইটও সুষ্ঠুভাবে উদযাপিত হবে।
পুলিশের মনোবল নিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। একটি বড় ঘটনা ঘটার পর দুই দিনে সব কিছু ঠিক হয় না। ঝড়ের পর ঘরবাড়ি মেরামতে যেমন সময় লাগে, এখানেও সময় প্রয়োজন। গণমাধ্যমকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাই।